সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- রবিবার সকাল 'মন কি বাত 'ও 'সুশাসন দিবস ' উপলক্ষ্যে বর্ধমান উত্তর বিধানসভার হীরাগাছি কুলারী গ্রামে উপস্থিত হন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন স্থানীয় বিজেপি নেতাকর্মীদের সাথে মন কি বাত অনুষ্ঠান দেখেন তিনি। এদিন এই গ্রামেই একটি বিজেপি কার্যালয় উদ্বোধন করেন দিলীপ বাবু।
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানানঃ-
'যারা বিরোধীদের নমিনেশন না করতে দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গত পাঁচ বছরে লুঠ করেছে আজ মানুষ তাদের কাছে হিসাব চাইছে। একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা সবেতেই লুঠ হয়েছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বিডিও অফিস ঘেরাও করছি।ওটা ভুতের বাসা, আবাস যোজনার নাম পাল্টে দেওয়া হয়েছে। যারা লুঠ করেছে তারা পালাতে চাইছে।জনতার দরবারে আসতে হবে হিসাব দিতে হবে। '
তিনি আরো জানান 'মিঠুন চক্রবর্তী যেহেতু বিজেপি করে তাই তাকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ডাকা হয়না। নন্দনে তার ছবি রিলিজ করার সুযোগ দেওয়া হয় না।'
'যারা প্রকৃত সুবিধাবাদী তাদের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। হয় তৃণমূল করতে হবে নয়তো ২০-২৫ হাজার টাকা দিতে হবে।যারা টাকা দেয়নি তাদের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। আমার এলাকায় একটি গ্রামে ৪৫০ টি নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। সে সমস্ত লিস্ট আমরা দিল্লিতে পাঠিয়েছি। তার তদন্ত শুরু হয়েছে।'
'এখন তৃণমূল কংগ্রেসের ইঞ্চি সাইজের ফুট সাইজের নেতা বড় বড় কথা বলছে। মনে রাখতে হবে পাবলিক যেমন কলার ধরতে শুরু করেছে তাতে রাস্তায় জামাকাপড় খুলে নেবে, লাইট পোস্টে বেঁধে পেটাবে তৃণমূল নেতাদের। ISF কে BJP কে চমকাতে পারে কিন্তু পাবলিকের কাছে যেতেই হবে।'
'যারা যোগ্য প্রার্থী তাদের নিয়োগ হয়নি, যারা টাকা দিয়েছে তাদের নিয়োগ হয়েছে। তারা আন্দোলন করছে আমরা পাশে আছি। এই সরকারকে তাদের অধিকার বুঝিয়ে দিতে হবে নয়তো বিদায় নিতে হবে।'
' উত্তরবঙ্গের মানুষ স্বাধীনতার পর থেকেই বঞ্চিত। তারা উন্নয়ন চান। উন্নয়নের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে।(জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের মন্তব্যর প্রেক্ষিতে) '
'খুনের রাজনীতির কালচার বাংলায় সিপিএম এনেছে। যার ফলে বাংলায় রক্তারক্তি হচ্ছে। আমরা খুনের রাজনীতি করিনা সমর্থনও করিনা।তারা প্রায়শ্চিত্ত করুন।'
' বিজেপি কোন তারিখে নির্ভর করেনা। কোর্ট কাচারির উপর রাজনীতি করেনা। বিজেপি তার কর্মীদের উপর ভরসা করে। অনেক কিছু সম্ভাবনা থাকে, অনেকে বলতেই পারে।'