সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- বমাল সহ দু'টি বিরল প্রজাতির সজারু উদ্ধার করলো রেল পুলিশ।রবিবার সন্ধ্যায় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের বাতানুকূল কামরা থেকে বর্ধমান স্টেশনের আরপিএফ সজারু দু'টি উদ্ধার করে।পাশাপাশি তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করে রেলপুলিশ।
রেলের ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ( CIB) এর তথ্যের ভীতিতে সি আই বি ও বর্ধমান রেল পুলিশ যৌথ অভিযান চালায় রবিবার সন্ধ্যায় ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্লাটফর্মে থামলে। ট্রেনের বাতানুকূল কামরায় একটি বড় নাইনলের ব্যাগে দুটি বিরল প্রজাতির সজারু ছিল।সজারু দু'টি উদ্ধারের পরই রেল পুলিশের পক্ষ থেকে বর্ধমান বন বিভাগে খবর দেওয়া হয়। বন দপ্তর থেকে একজন রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে বনকর্মীরা আরপিএফ পোস্টে গিয়ে সজারু দু'টিকে রমনার বাগানে নিয়ে যায়।
বন দপ্তরের রেঞ্জ অফিসার কাজল বিশ্বাস বলেন,' দুটি ধবধবে সাদা রঙের হিমালয়ান সজারু রেল পুলিশ উদ্ধার করে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে সজারু দু'টি শারীরিক ভাবে সুস্থ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে আমাদের বন দপ্তরের চিকিৎসক সজারু দু'টির চিকিৎসা করার পরই শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে। পরবর্তী সময়ে এই দু'টি বিরল প্রজটির সজারুকে কোথায় রাখা হবে বা ছাড়া হবে সেই বিষয়ে জেল বিভাগীয় বিনাধিকারিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ত্রিপুরার ধর্মানগর থেকে ধৃতরা এই সজারু দু'টিকে নিয়ে যাচ্ছিল। ট্রেনের বতানুকুল কামরায় রেলের চুক্তিভিত্তিক কর্মী তরুণ কুমার ঘোষের হেফাজতে সজারু রাখা ব্যাগ টিকে রেখেছিল অন্য দুই ধৃত গণেশ সাউ ও পিন্টু কুমার। রেল পুলিশের এক আধিকারিক জানান , ধৃত তরুণ কুমার ঘোষের বাড়ি উত্তর ২৪পরগনার গোপালপুর। অন্যদিকে গণেশ সাউয়ের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি এবং পিন্টু কুমারের বাড়ি দিল্লিতে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে, সজারু দু'টিকে শিয়ালদহ নিয়ে যাবার পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। সেখানেই মেয়াদ নামে এক ব্যক্তির কাছে প্রায় এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে সজারু দুটিকে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। বন্যপ্রাণী পাচার ও বিক্রি করার অপরাধে তিনজনকেই গ্রেপ্তার করে রেল পুলিশ। সোমবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে রেল পুলিশ।