Type Here to Get Search Results !

পৌষমেলা নিয়ে বীরভূম জেলা প্রশাসনের সাথে বিশ্বভারতীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হলেন না স্বয়ং উপাচার্য



শুভময় পাত্র, বোলপুর:- অনিশ্চয়তার মুখে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতন পৌষমেলা। পৌষমেলা নিয়ে বীরভূম জেলা প্রশাসনকে নিয়ে বিশ্বভারতীর ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না স্বয়ং উপাচার্য। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এদিন বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে পৌষমেলা নিয়ে একটি জরুরী বৈঠক ডেকেছিল। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী, জেলাশাসক, জেলার অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকরা বৈঠকে এসে ঘুরে গেলেন। নিরাপত্তার অভাব বোধ করে বৈঠকে যোগ দিলেন না উপাচার্য। এমনকি জেলা শাসকের ফোন ও রিসিভ করলেন না বিশ্বভারতীর উপাচার্য। স্বাভাবিকভাবেই ভেস্তে গেল পৌষমেলা নিয়ে বৈঠক। 











একটি মাসও বাকি নেই শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতন পৌষমেলা। পৌষমেলা করা নিয়ে এদিন বিশ্বভারতী জেলা প্রশাসনকে নিয়ে একটি জরুরী বৈঠক ডাকে। বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়। বোলপুর এর তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলার অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকরা। তবে নিরাপত্তার অভাব বোধ করে নিজেই বৈঠক ডেকে হাজির হলেন না বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। খুব স্বাভাবিকভাবেই পৌষ মেলা চলতি বছরেও শান্তিনিকেতনে হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই গেল। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিকল্প পৌষমেলা হিসেবে বীরভূম জেলা প্রশাসন বোলপুর ডাকবাংলো মাঠেই পৌষ মেলা করবে এমনটাই জানিয়েছেন।











বোলপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা করতে চাইছেন না। বলেই তিনি নিজে বৈঠক ডেকে গড়হাজির থাকলেন। আসলে উপাচার্য এবং তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইছে ও রবীন্দ্রনাথের ঐতিহ্য শান্তিনিকেতন তথা বাংলা থেকে মুছে ফেলতে। তাই এধরনের পরিচয় দিলেন। এখনো আমরা বলছি বিশ্বভারতী যদি পৌষ মেলা না করে। তাহলে আমরা বিকল্প পৌষ মেলা হিসেবে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে মেলা হবে।










বৈঠকে এসে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়। তিনি জানান শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা নিয়ে বিশ্বভারতী জরুরি বৈঠক ডেকেছিল। নিজে বৈঠক ডেকে গরহাজির থাকলেন উপাচার্য। তিনি নাকি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন ! আমি উনাকে ফোন করেছিলাম। উনি ফোন ধরছেন না। তার বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়। তাকে নিরাপত্তা দিয়ে বৈঠকে আসতে পারেন। তবুও তিনি কোন সদুত্তর দেননি। বিশ্বভারতী যদি পৌষ মেলা না করে বিগত বছরের মতো পৌষ মেলা বোলপুর ডাকবাংলা মাঠে হবে এমনটাই জানান জেলা শাসক। 










তবে বিশ্বভারতীর ইতিহাসে এই প্রথম। নিজেই বৈঠক ডেকে বাড়িতেই বসে রইলেন উপাচার্য। গড় হাজির থাকলেন বৈঠকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই উপাচার্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাথে যোগাযোগ করা হলে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad