Type Here to Get Search Results !

'বিশ্বাসে মিলায় বস্তু- তর্কে বহু দূর’ অসুস্থ মেয়ে কে নিয়ে দেবীর কাছে শুধুই মেয়ের সুস্থতা কামনায় দিন রাত প্রার্থনা জানিয়ে যাচ্ছেন তাপসীদেবী



সংবাদদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- চিকিৎসায় মেয়ে সুস্থ না হলেও বিশালাক্ষী রঙ্কিনীদেবী মাতার কৃপাতেই সুস্থ হয়ে উঠবে বিকলাঙ্গ মেয়ে।এমন বিশ্বাসে ভর করে সেই কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন থেকে অসুস্থ মেয়ে ঋতু মুদিকে সঙ্গে নিয়ে দেবীর মন্দিরে হত্যে দিয়ে পড়ে আছেন মা তাপসী মুদি।তাঁদের এখন ঠিকানাই হয়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার গোপিকান্তপুর গ্রামে থাকা রঙ্কিনীদেবীর মন্দির।







ঘর বাড়ি সব ছেড়ে এসে দিন রাত সেখানে থেকেই মেয়ের সুস্থতার জন্য দেবীর কাছে প্রার্থনা করছেন  অসহায় মা।এইসব কিছুকে এলাকার বিজ্ঞান মনস্ক ব্যক্তি ও চিকিৎসকরা টেরা চোখে দেখলেও তাপসীদেবী দাবি করেছেন,তাঁর মেয়ে রঙ্কিনী দেবীর কৃপায় সুস্থ হচ্ছে । 










জামালপুরের চকদিঘী পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম গোপিকান্তপুর।এই গ্রামের এক পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ডাকাতিয়া খাল।সেই খালের পাশেই রয়েছে বিশালাক্ষী রঙ্কিনীদেবী মাতার প্রাচীন মন্দির।বিকলাঙ্গ হয়ে পড়া মেয়ে ঋতুকে সুস্থ করে তুলতে মা তাপসী দেবীও ভরসা  রেখেছেন রঙ্কিনীদেবী মাতার উপরেই।  








গোপিকান্তপুর গ্রামের মুদি পাড়ায় বাড়ি তাপসী দেবীর।তাঁর স্বামী যাদব মুদি পেশায় খেত মজুর । দারিদ্রতাই তাঁদের নিত্যসঙ্গী।তাপসীদেবী  জানান ,তাঁর মেয়ে ঋতু ছোট থেকে সুস্থই ছিল।পড়াশুনাও করছিল গ্রামের বাণী নিকেতন রঙ্কিনী মহুলা বিদ্যালয়ে। ক্লাস সিক্সে  পড়ার সময়েই ঋতুর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে শুরু করে।ওইসময়ে ঋতুর মুখ দিয়ে লালা ঝরা শুরু হয়, কথাও জড়িয়ে যেতে থাকে।এমনকি কমতে শুরু করে দুই হাতের শক্তি ও দু'পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ।









তাপসীদেবী বলেন,'তখন থেকেই চিকিৎসার জন্য ঋতুকে কোলে করে নিয়ে আমি ও আমার স্বামী বিভিন্ন জায়গার ডাক্তার বাবুর কাছে যাই।অনেক কষ্ট করে পয়সা জোগাড় করে ডাক্তার বাবুদের লিখে দেওয়া ওষুধ কিনে মেয়েকে খায়েছি।মেয়ের অনেক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করান।এই ভাবে বছরের পর বছর ধৈর্য্য ধরে বর্ধমান হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ডাক্তার বাবুর পরামর্শ মেনে সব কিছু করেন।তা কারতে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর সব টাকাও শেষ হয়ে যায়।ছোট বয়স থেকে চিকিৎসা শুরু হওয়া মেয়ের বয়স এখন ১৯ শে পৌছে গেছে। কিন্তু মেয়ে সুস্থ হয় নাই। রোগটার নাম সেরিব্রাল পালস। 










তাপসীদেবী বলেন,'রঙ্কিনীদেবী মাতা আমায় স্বপ্নে দেখা দেন।দেবী মা আমাকে আদেশ করেন,আমার অসুস্থ মেয়েকে সুস্থ করার জন্য আমায় মেয়েকে নিয়েই মন্দিরে পড়ে থাকতে হবে'। তাই রঙ্কিনীদেবীর আদেশ মতই এই বছরের কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন ঘর বাড়ি সব ছেড়ে অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে দেবীর মন্দিরে চলে আসেন।সেই থেকে মন্দির সন্মুখের আটচালায় ঠাঁই নিয়ে দেবীর কাছে শুধুই মেয়ের সুস্থতা কামনায় দিন রাত প্রার্থনা জানিয়ে যাচ্ছেন বলে তাপসীদেবী জানান।









এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গৌরসুন্দর মণ্ডল বলেন,দেবীর মাহত্ম্যে অসুস্থ মেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠছে কিনা এইসব নিয়ে কোন যুক্তি তক্কে তিনি যেতে চান না।কারণ প্রবাদই আছে ,'বিশ্বাসে মিলায় বস্তু- তর্কে বহু দূর’।গৌরসুন্দর বাবুও স্পষ্ট জানিয়ে দেন ,'তিনিও বিশ্বাস করেন দেবী বিশালাক্ষী রঙ্কিনী মাতার কৃপায় অনেক অসম্ভবই সম্ভব হতে পারে।' বিজ্ঞানমঞ্চের সভাপতি চন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়  বলেন, মঙ্গলে রকেট যাচ্ছে। আর এখনো মানুষ এসব বিশ্বাস করছে।আমরা গ্রামে যাবো।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad