শুভময় পাত্র,বীরভূম:- শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতন পৌষমেলা পূর্বপল্লীর মাঠে করার দাবিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্যর দপ্তরের সামনে বলাকা গেটে বিক্ষোভ শান্তিনিকেতন পৌষমেলা বাঁচাও কমিটির। প্ল্যাকার্ড, পোষ্টার, ব্যানার নিয়ে বিশ্বভারতীর বলাকা গেটে বিক্ষোভ শান্তিনিকেতন পৌষমেলা বাঁচাও কমিটির। বিশ্বভারতী পৌষমেলা না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি পৌষমেলা বাঁচাও কমিটির।
শেষবার ২০১৯ সালে শান্তিনিকেতন পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল শান্তিনিকেতন পূর্বপল্লীর মেলার মাঠে। সেই বছর নির্ধারিত সময়ে মেলার ষ্টল তোলা নিয়ে বিশ্বভারতীর সাথে বিবাদ, হাতাহাতিও তৈরী হয় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। মামলা গড়ায় আদালতে। পাশাপাশি দূষণ নিয়ে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের করা মামলায় ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হয় আদালতকে। এই তিক্ত অভিজ্ঞতার কারনে পৌষমেলা এবছর করবেনা বিশ্বভারতী। এমনই বিশ্বভারতী একটি সুত্রের দাবি।
২০২০-২১ বর্ষে বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলা না করায়, বাংলা সংস্কৃত মঞ্চ ও বোলপুর ব্যবসায়ী সংগঠন উদ্যোগে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা নিয়ে বীরভূম জেলা পরিষদের বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে পৌষমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
চলতি বছর ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতন পৌষমেলা পূর্বপল্লীর মেলার মাঠে হওয়া নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কারণ, শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ইতিমধ্যেই পৌষ মেলা করার জন্য চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বিশ্বভারতীকে। ট্রাস্টের দাবি এখনো পর্যন্ত কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি বিশ্বভারতীর কাছ থেকে। শুধু তাই নয়। পৌষ মেলা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের জলের প্রয়োজন হয়। এই জল সংকট মেটানোর জন্য ব্যবহার করা হয় ভুবনডাঙার পৌষ মেলার মাঠের লাগোয়া বাঁধ গুলিকে।
কিন্তু ঘটনাচক্রে সংস্কারের অভাবে সেই বাঁধগুলো কচুরিপানায় মুজে গেছে। তাই ট্রাস্টের তরফ থেকে বোলপুর পৌরসভা কে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে পৌষ মেলা করার জন্য। যদিও বোলপুর পৌরসভা তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা আগে বিশ্বভারতীকে মেলা করার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি পূর্বপল্লীর মাঠ পৌষ মেলা করার জন্য অনুরোধ জানানো হবে। সব মিলিয়ে চলতি বছর ও শতাব্দি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা করা নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চিতা তৈরি হয়েছে। তবে পৌষ মেলা আদৌ এবছর হবে কি না সে নিয়ে সাধারণত দুবিধার মধ্যে সকলেই।