সংবাদদাতা অন্ডাল :- অন্ডালের পড়াশকোল ইস্ট কোলিয়ারিতে অল্পের জন্য বাঁচলো দুই খনি শ্রমিক । খনি শ্রমিকদের অভিযোগ এই কোলিয়ারিতে বালি বাঙ্কারে বালির বদলে এক ধরনের মাটির প্রয়োগ হচ্ছে । আর সেই মাটির প্যাকিং করতে গিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে দুই খনি শ্রমিক । অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েই গেছে। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকেই খনি চত্বরে বিক্ষোভে সামিল হয় খনির শ্রমিকরা ।
শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায় খনির শ্রমিক সংগঠন গুলি। শ্রমিক সংগঠন গুলির দাবি ইসিএল কর্তৃপক্ষ কিভাবে বালির বদলে মাটি প্যাকিং করে? বালি খনির নিচে যত সহজেই জলের সাথে প্যাকিং হয়,বালির বদলে এই মাটি সেভাবে কাজ করছে না। বালিবাঙ্কারে শুক্রবার জলের সাথে এই ধরনের এই পদার্থ প্যাকিং করতে গেলেই ঘটে বিপত্তি। জলের সাথে দিতেই জমাট হয়ে যায় ফলে বাঙ্কার ভরে যায় জলে ।
বাঙ্কার জলে ভর্তি হওয়া এই বিপদের মুখে পড়ে দুই শ্রমিক তড়িঘড়ি সেখান থেকে পালিয়েই প্রাণ বাঁচায়। ঘটনার খবর জানাজানি তিনি হতেই বিক্ষোভে সামিল হয় খনির শ্রমিকরা । বিক্ষোভের বেশ কিছুক্ষন বন্ধ হয়ে যায় খনির কাজ। খনির মধ্যে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে বলে জানাই শ্রমিক সংগঠনের নেতা গোপালচন্দ্র সরকার ।
যদিও বালির বদলে এই ধরনের মাটি প্যাকিং করে সমস্যা হয়েছে এ কথা অকপটে স্বীকার করে কলিয়া দিন ম্যানেজার প্রদীপ তেওয়ারি জানান, বর্তমানে বালির সংকট রয়েছে আর বালি আনতে খরচ হয় অনেক বেশি মাঝেমধ্যেই বালি পাওয়া যায় না ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়। সে কারণেই বালির বিকল্প হিসেবে এই ধরনের পদার্থ ব্যবহারে সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ ।
এই ধরনের মেটেরিয়াল ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছে দক্ষিণের বেশ কিছু খনি। কিন্তু কেন এখানে সেই সফলতা এলো না এটা বিচার্য বিষয় । তবে এটা পড়াশ কোল ইস্ট কোলিয়ারিতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রাথমিক কাজ হচ্ছে । প্রাথমিক পর্যায়ে বিপত্তি হয়েছে । ঘটনার পর এই বিষয়ে আধিকারিকদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে । কিভাবে এই পদার্থটি কে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় বা এই পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না,সব বিষয়ই আলোচনা সাপেক্ষ ।
যদিও শ্রমিক সংগঠনের দাবি ইসিএল কর্তৃপক্ষ বালির বদলে যে ধরনের পদার্থ ব্যবহারের কথা বলছে সেটা একেবারে গ্রহণযোগ্য নয় । পাশাপাশি নিরাপদ ও নয় এই পদার্থ । শ্রমিক সংগঠনের দাবি ইসিএল কর্তৃপক্ষ নানান অছিলায় কোলিয়ারি বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে ।