সংবাদদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- মঙ্গলবার বর্ধমানের টাউনহলে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটার লিষ্ট সংক্রান্ত বুথ ভিত্তিক এজেন্টদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল। আর এই সভা তে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাসের মন্তব্য ঘিরে তৈরী হয়েছে বির্তক। এদিন সভায় তাকে বলতে শোনাযায় - 'নতুন লোক আসছেই। নতুন লোক মানে সব বাংলাদেশ থেকে আসা লোক।তাদের ভোট বেশি তুলতে যাওয়া বেশি ক্ষতি।কারণ তারা তো বেশি হিন্দু হিন্দু করে বেশীটাই ভোট দিয়ে দেয় বিজেপিকে।এটাকে নিয়ে অস্বীকার করার কিছু নেই।নতুন লোকের ভোট তুলবেন যারা আমাদের দলের সাথে যুক্ত তাদের।' বিধায়কের এই মন্তব্য ঘিরে তৈরী হয়েছে বির্তক।
মঙ্গলবার বর্ধমানের টাউনহলে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটার লিষ্ট সংক্রান্ত বুথ ভিত্তিক এজেন্টদের আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন বিধায়ক খোকন দাস।
বিজেপি বর্ধমান জেলা কমিটির সহসভাপতি তথা জেলা মুখপাত্র সৌম্যরাজ ব্যানার্জীর অভিযোগ,এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হচ্ছে যে 'তৃণমূলই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে বিজেপি নয়'।বাংলাদেশ থেকে আসা লোক সম্পর্কে যদি বিধায়কের কাছে কোন তথ্য থাকে তাহলে বিধায়কের উচিত ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি না করে সেই তথ্য রাজ্য ও কেন্দ্রকে জানানো।আমরা তো এই কারণেই সিএএ (CAA) লাগু করার কথা বলেছি,যার প্রযোজনীয়তা আজ বিধায়কের কথাতেই স্পষ্ট।
যদিও পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,বিজেপিই অভিযোগ করেছিল পশ্চিমবাংলায় বাংলাদেশী লোক ঢুকছে তো বিধায়ক এটাই বলতে চেয়েছেন যে বাংলাদেশ থেকে যদি কোনো লোক ঢোকে তাদের নাম ভোটার লিষ্টে তুলবেন না।অযথা কথার অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে।তৃণমূল ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না।সিএএ (CAA) লাগু করা বিজেপির একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।ভোটের সময়ই তা প্রতিফলিত হয়।