সংবাদদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- 'এ রাজ্যের কারামন্ত্রী রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন উনি অন্য কোন রাজ্যের মন্ত্রী হলে কান ধরে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হত।' শনিবার বর্ধমানে এসে এই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যর প্রতিবাদে সারা রাজ্যজুড়ে বিজেপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ অব্যাহত। এদিন বিকালে বর্ধমান জেলা বিজেপি কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি প্রতিবাদ র্যালি আয়োজিত হয়। এই প্রতিবাদ র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ এস এস আহলুওয়ালিয়া সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব।
র্যালি শেষ হয় বর্ধমানের কার্জনগেট চত্ত্বরে। র্যালি শেষে বক্তব্য রাখতে এসে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'অখিল গিরির বিরুদ্ধে গোটা দেশ জুড়ে মামলা করা হবে। ওনাকে জেলে পাঠাবো।' বক্তব্য রাখতে এসে তিনি আরও বলেন, 'রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। জেলায় জেলায় পালা করে বোমা উদ্ধার হচ্ছে।নেতা মন্ত্রীদের আত্মীয়দের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হচ্ছে।'
বিক্ষোভ সভা শেষে অখিল গিরির কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয় কার্জনগেট চত্ত্বরে।পাশাপাশি তিনি বলেন ডিসেম্বর মাস আসছে।শীত পড়বে থরহরি কম্পন শুরু হবে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বর্ধমানে যুব রাজ্য কার্যকারিণীর সভায় যোগ দিতে এসে যা বলেনঃ-
১) 'অখিল গিরি রাস্ট্রপতি নিয়ে খুব গর্হিত কথা বলেছেন। আদিবাসী; মূলবাসীদের সম্পর্কে ওদের ধারণা এতেই স্পষ্ট। হয় মুখ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা নিন।নয়তো আমরা আন্দোলনে নেমে বুঝে নেবো।আজ থেকেই আন্দোলন শুরু হবে।'
২) 'শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে অখিল গিরি যে হুমকি দিয়েছেনঃ রাজ্যে এ ধরণের নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে বেড়েছেন। একজন প্রবীণ সাংসদ যদি বোমা নিয়ে আক্ষেপ করেন; তাহলেই বোঝা যায় ওনাদের মতিগতি।'
৩) 'রাজারহাট গণধর্ষণ নিয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। অবিলম্বে এর তদন্ত হওয়া দরকার।'