তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:- বিপজ্জনকভাবে ঝুলে রয়েছে স্কুলের পাঁচিল। একটি লাল পতাকা আর সতর্কিবার্তা দিয়ে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বড় ধরণের দুর্ঘটনার অপেক্ষায় দুর্গাপুরের কাঁকসার বামুনারা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। রাজনৈতিক তরজায় উপেক্ষিত স্কুল পড়ুয়াদের জীবন।
দুর্গাপুরের কাঁকসার বামুনারাতে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নয় নয় করে শ পাঁচেক শিশু পড়াশোনা করে এখানে। শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস চলে প্রতিদিন। কিন্তু স্কুল পড়ুয়াদের পাশাপাশি অভিভাবকদের প্রাণের ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। স্কুলের পাঁচিল বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে রয়েছে স্কুল গেটের গা ঘেঁষে। মাস পাঁচেক হলো এই অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই পাঁচিল।
এতে স্কুল পড়ুয়াদের তো বটেই, স্কুলে দিতে আসা অভিবাবকদের প্রাণের ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কারণ স্কুল খোলা ও ছুটির সময় অভিবাবকরা এই পাঁচিলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হয়, এ ছাড়াও স্কুল গেট গা ঘেঁষে এই পাঁচিল বিপজ্জনক অবস্থাতে হেলে থাকায় যখন তখন একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে এইখানে, কিন্তু অবাক করা ঘটনা হলো এতো কিছুর পরও হুঁশ নেই কারোর।
স্কুল কর্তৃপক্ষ বিপজ্জনক এই পাঁচিলের গায়ে একটি লাল ফ্ল্যাগ আর সতর্কিকরন বার্তা লাগিয়ে দিয়ে দায় সেরেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাফাই, স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল, কিন্তু সরকারি কাজে যে ধরণের ঢিলেমো চলে সেই ধরণের ঢিলেমো চলছে। এর মাঝে পড়ে এখন বিপজ্জনক এই পাঁচিল গোটা বামুনারা অঞ্চলে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বামুনারা গ্রামের ভেতরে প্রাইমারি এই স্কুল থাকাতে বিপজ্জনক এই পাচিলের পাশের রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত গ্রামের মানুষজন যাওয়া আসা করছেন, বিপদ তাদের ক্ষেত্রেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। কিন্তু দেখবে টা কে??? প্রশাসনকে বারবার জানানো সত্ত্বেও কেন তারা সদর্থক ভূমিকা নিতে পারেনি এতদিনেও তা নিয়েও উঠেছে বিস্তর প্রশ্ন।
কাঁকসা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য এই গ্রামেই থাকেন, তার বক্তব্য এই ব্যাপারে কিছু জানায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ, বিষয়টি নিয়ে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে তিনি আর্জি জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে এই ইস্যুতে সুর সপ্তমে তুলেছে বিরোধীরা। বিজেপি পূর্ব বর্ধমান জেলা সদরের সহ সভাপতি রমণ শর্মার অভিযোগ সবদিক থেকে ব্যার্থ এই সরকার, সুর চড়িয়েছেন জেলা সিপিআইএম নেতৃত্ব।
কিন্তু স্কুলের পড়ুয়াদের নিরাপত্তার বিষয়টির দায়িত্ব কে নেবে??? কেনই বা এত বড় বিপজ্জনক অবস্থা দেখেও নীরব প্রশাসন??? বারবার জানানো সত্ত্বেও কেন প্রশাসনের ঘুম ভাঙলো না বা ভাঙছে না সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।