নীলেশ দাস ,আসানসোল:- পরিত্যক্ত খাদানে ঝাঁপ ছাত্রীর,আসানসোলের কাল্লা ইন্ডিয়ান অয়েলের পিছনে ইসিএলের একটি বন্ধ খাদানে ঝাঁপ দেন তিনি। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের লোকজন সেখানে পৌঁছে পুনমকে বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করে। স্থানীয় লোকজনও সেখানে ভিড় জমায়। ঘটনার পর চাষীপাড়া এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার চাষি পাড়ার ১৬ বছর বয়সী সোনু পাসওয়ান আত্মহত্যা করার পরে এলাকার স্থানীয় মানুষ বলছেন যে একই স্কুলের ছাত্রী পুনম কুমারী পরিত্যক্ত খাদানে ঝাঁপ দেন। এখন পর্যন্ত তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। এই খবর লেখা পর্যন্ত খাদান এলাকায় তার খোঁজ চলছিল।
জানাগেছে দুজনেই আসানসোল অরুণোদয় স্কুলের ছাত্র, বলা হচ্ছে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।গুঞ্জন রয়েছে যে সোনুর পরিবার পুনমের সাথে সোনুর ঘনিষ্ঠতা পছন্দ করেনি এবং তারা কোন অবস্থাতেই সোনুকে পুনমের সাথে বিয়ে দিতে চায়নি। এ কারণে তারা সোনুর বিয়ে অন্যত্র ঠিক করেন। কিন্তু সোনু এই সম্পর্কে খুশি না হয়ে শনিবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরিবারের লোক তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ছেলের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সোনুর পরিবার।
ঘটনাটি জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান পুনম।রবিবার ইন্ডিয়ান অয়েলের পিছনে ইসিএলের একটি বন্ধ খাদানে ঝাঁপ দেন তিনি। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের লোকজন সেখানে পৌঁছে পুনমকে বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করে। স্থানীয় লোকজনও সেখানে ভিড় জমায়। তবে খবর লেখা পর্যন্ত পুনমের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর চাষীপাড়া এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।