তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:- অবসর গ্রহণ করেছেন ২০০৬সালে।কিন্তু অবসর গ্রহণ করার পরেও বাড়িতে বসে বসে থাকেন নি তিনি।নিয়মিত সময় করে বিদ্যালয়ে আসা আবার ছুটির পরে বিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের পরে বাড়ি ফিরে যাওয়ার একই ধারা বজায় রয়েছে আজও।
কাঁকসার বিষ্ণুপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক রবিলাল গড়াই।বিদ্যালয়ে যোগদান করেছিলেন ১৯৭৭সালে।টানা ২৯বছর শিক্ষকতা করেছেন তিনি এই বিদ্যালয়ে।অবসর গ্রহণ করেন ২০০৬সালে।কিন্তু অবসর গ্রহণ করার পরেও বাড়িতে মন টিকতো না।মন পরে থাকতো বিদ্যালয়ে। তাই অবসর গ্রহণের পরেও তিনি বাড়িতে না বসে থেকে বিদ্যালয়ে নিয়মিত গিয়ে সেখানে ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষাদান করতে শুরু করেন।
তবে রবিলাল বাবুর বিদ্যালয়ে আসার জন্য কারোর কোনো সমস্যা হয় নি।বরং রবিলাল বাবুর বিদ্যালয়ে আসার ফলে খুশি হন বিদ্যালয়ের সহ কর্মীরা ও ছাত্র ছাত্রীরা।তার পর থেকে নিয়মিত স্কুলে আসা,শিক্ষাদান আবার সময় মত বাড়ি ফিরে যাওয়া সবই ঠিক ছিলো।
হটাৎ করে ২০১০ সাল থেকে তিনি চোখের দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলেন।যেহেতু স্কুলের পাশেই একই গ্রামে বাড়ি তাই প্রথম প্রথম সমস্যা হলেও বর্তমানে বাড়ির সদস্যরা তার হাত ধরে তাকে স্কুলে পৌঁছে দেন আবার স্কুল শেষে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান।রবিলাল বাবু জানিয়েছেন তিনি অবসর নেওয়ার পরে বাড়িতে তার বসে থাকতে ভালো লাগতো না।তাই বাধ্য হয়ে স্কুলে এসে ছেলে মেয়েদের পড়াতেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষক হলেও বিদ্যালয়ের ভালো মন্দের বিষয়ে তিনিও মতামত দেন।প্রাক্তন শিক্ষক হলেও তিনি আজও নিয়মিত সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন এবং ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষাদান করেন। যেমন ছাত্র ছাত্রীদের সাথে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে।তেমন তাকে পেয়ে গর্বিত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। শিক্ষক দিবসের দিনে তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সহ এলাকার মানুষ।