তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:- কাঁকসায় গ্রেফতার ভুয়ো চিকিৎসক। বেশ কয়েক বছর ধরে রমরমিয়ে চলছিল ব্যবসা পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার ক্যানেলপারে একটি ওষুধ দোকানে।সেখানেই ডিস্পেন্সারি খুলেই চলতো রুগী দেখার কাজ।সকাল থেকেই লাইন দিলে শেষ বেলায় ডাক্তারকে দেখানো হতো। ডাক্তারবাবু যা ওষুধ দিতেন তাতেই নাকি দ্রুত সুস্থ হয়ে যেতেন রুগীরা। এমনটাই দাবি ছিলো এলাকার রুগীদের।
প্রায় ১বছর আগে এলাকার বাসিন্দাদের ওই চিকিৎসকের ডিগ্রির উপর সন্দেহ হয়।তারা এই বিষয়ে কাঁকসা থানা,কাঁকসার বিডিও,মহকুমা শাসক,জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে তাদের সন্দেহ প্রকাশ করেন।সেইমত ওই চিকিৎসকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন স্বাস্থ্য আধিকারিক। সূত্র মারফত খবর স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে তিনি তার কু কীর্তি স্বীকার করে নিয়েছিলেন।
সেই মত স্বাস্থ্য আধিকারিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে পানাগড় বাজার থেকে কাঁকসা থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে দেবাশিষ পোড়ে নামের ওই ভুয়ো চিকিৎসককে। বুধবার সকালে তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে কাঁকসা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে কলকাতার বাসিন্দা দেবাশিষ বাবু আদতে একজন ফার্মাসিস্ট। কিন্ত সে নিজেকে বিলেত ফেরৎ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে কাঁকসার একটি ওষুধের দোকানে রোগী দেখতেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কলকাতার বাসিন্দা প্রয়াত এক চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে নিজেকে বিদেশ থেকে মেডিকেল সায়েন্স নিয়ে পড়ে আসা চিকিৎসক বলে জাহির করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় তারা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তারা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশীষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পর থেকেই কাঁকসার চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ করেন দেবাশীষ বাবু। মঙ্গলবার বিকেলে কোনো কাজের জন্য কলকাতা থেকে পানাগড় বাজারে আসেন দেবাশীষ বাবু। খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে যে ওষুধ দোকানের চেম্বারে ওই চিকিৎসিকের সমস্ত ডিগ্রি লেখা ছিলো রাতারাতি সমস্ত ডিগ্রি মুছে ফেলা হয় বলে অভিযোগ।