তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:- গত দু বছর ধরে সরকারি প্রকল্পের বাড়ি তৈরির জন্য আবেদন করেও মেলেনি বাড়ি তৈরির টাকা। অগত্যা ভাঙাচোরা মাটির বাড়িতেই বসবাস করতে হোচ্ছে কাঁকসার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চাতালডাঙ্গা আদিবাসী গ্রামের এক আদিবাসী পরিবারকে। অথচ কাঁকসার গোপালপুর পঞ্চায়েতের এক পঞ্চায়েত সদস্যা সরকারি প্রকল্পের বাড়ি টাকা পেয়েও বাড়ি না তৈরি করার অভিযোগ উঠছে।
সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরির টাকা পেয়েছেন দু বছর আগে গোপালপুর পঞ্চায়েতের সদস্যা চায়না ধীবর। কিন্তু তিনি বাড়ি না করে নিজের কাছেই রেখেছেন বাড়ি তৈরির টাকা বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে চায়না ধীবরকে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন দু বছর আগে ৬০ হাজার টাকা পেয়েছেন তিনি, কিন্তু বাড়ি করা হয় নি তার। ঝাঁ চকচকে বিশাল বাড়িতে তিনি বাস করেন । পঞ্চায়েত সদস্যা দাবি করেন বিশালাকার বাড়ি তার শাশুড়ির । যদিও তৃণমুলের একাংশের দাবি ওই বাড়ি পঞ্চায়েত সদস্যরা নিজের।
গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতালডাঙা গ্রাম সেই গ্রামেই বসবাস করেন এক আদিবাসী পরিবার । পরিবারে রয়েছেন বৈদ্যনাথ মাড্ডি, তার বৃদ্ধা মা সুখী মাড্ডি এবং তার প্রতিবন্ধী বোন রাণী মাড্ডী। ৩ জন কে নিয়েই নিয়ে ভাঙা ঘরে বসবাস করছেন তারা।মাটির বাড়ি দেওয়ালের যা অবস্থা তা যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে। যদিও এবছর তেমন ভারী বৃষ্টি হয় নি বলেই সম্ভবত তাদের বাড়ি টিকে রয়েছে। ভারি বর্ষা হলে বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে যে কোন সময় এমন আশঙ্কা নিয়েই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটে বৈদ্যনাথ মাড্ডির।
সরকারিভাবে বাড়ি তৈরির আবেদন করার পাশাপাশি দিদিকে বলো তেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন বৈদ্যনাথ মাড্ডি।কিন্তু ঘরের কোনো ব্যবস্থা হয় নি তার ।পঞ্চায়েতে আবেদন করেছিলেন প্রায় বছর দুই তিন আগে। কিন্তু হতদরিদ্র আদিবাসী যুবকের ভাগ্যে বাড়ি মেলে নি ।কেন বাড়ি মেলে নি সে প্রশ্নের উত্তর তার জানা নেই।
এবিষয়ে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জয়জিত মন্ডল জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যা কে ডাকা হয়েছিল সে জানিয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে সে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করবে। তবে বাড়ি পাওয়াটা সম্পুর্ন তালিকা অনুযায়ী হয়। সময় হলে বৈদ্যনাথ মাড্ডি ঠিক বাড়ি পাবেন।তবে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে কোনো সাহায্য প্রয়োজন হলে তারা পঞ্চায়েত কে জানালে তারা সর্বদা পাশে আছেন বলে জানান তিনি।