তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:- পানাগড় শিল্প তালুকের একটি বেসরকারি কারখানার সামনে ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভে বসলো স্থানীয় শ্রমিকরা।শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে কারখানায় ঢুকতে পারে নি কেউ।মঙ্গলবার সকাল থেকে পানাগড় শিল্প তালুকের একটি বেসরকারি কারখানার সামনে শ্রমিক বিক্ষোভ চলছে।
শ্রমিকদের অভিযোগ এই কারখানা ১২ জন শ্রমিককে বিনা নোটিশে বিনা কারণে অন্যায় ভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে সোমবার। তার জন্যই তারা মঙ্গলবার সকাল থেকে ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকদের পুনর্নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সকল শ্রমিকরা। কারখানায় কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি সকাল থেকেই। তারা জানিয়েছেন ওই বেসরকারি কারখানায় জন্ম লগ্ন থেকে বিগত দু'বছর ধরে তারা কাজ করছেন । মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কারখানা কর্তৃপক্ষ বিহার থেকে কম পরিশ্রমিকে লোক নিয়ে এসে নিয়োগ করছে। স্থানীয়দের ধীরে ধীরে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কারখানায় পিএফ, ই এস আই,এর কোন ব্যবস্থা নেই । নেই সেফটি সিকিউরিটির কোন ব্যবস্থা। শ্রমিকদের নানান সমস্যার মধ্যে কাজ করতে হয়। তবুও তারা কাজ করছিলেন কিন্তু অন্যায় ভাবে এতজন শ্রমিককে বসিয়ে দেওয়া তারা বরদাস্ত করবেন না এই পুজোর মুখে। যতক্ষণ না কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত না বদল করেন কারখানার কাজ বন্ধ থাকবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তারা।যদিও এই বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।যদিও শ্রমিকদের বিক্ষোভে তাদের পাশে দাঁড়ায় তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের স্থানীয় নেতৃত্ব এবং আশেপাশের কারখানার শ্রমিকরা।
এই ঘটনার প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রমন শর্মা বলেন 'স্থানীয় শ্রমিকদের কারখানায় কাজে ঢুকিয়ে তাদের কাছ থেকে তোলা আদায় করতো তৃণমূল। এবং সেই টাকা উচ্চ নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হতো। যে সমস্ত কারখানায় শ্রমিকদের তারা ঢোকাতো সেই কারখানার কর্তৃপক্ষ জোর করে ঢোকানো শ্রমিকদের কিছুদিন পরেই কারখানা থেকে ছাঁটাই করে দেয়। এই ঘটনা এর আগেও বহুবার পানাগড় শিল্প তালুকে হয়েছে। এর উত্তর দিতে হবে তাদেরকে যারা তোলা নিয়ে শ্রমিকদের কারখানায় কাজে ঢুকিয়েছিল।'
যদিও বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস জানিয়েছেন বিজেপি যে অভিযোগ তুলেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি জানিয়েছেন যে কারখানা থেকে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হয়েছে সেই কারখানার কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের ইতিমধ্যে কথা হয়েছে এবং এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটক কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করবেন। শ্রমিকদের কোনভাবেই কোনো কারখানা থেকে ছাঁটাই করা যাবেনা বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।