সংবাদাতা,পূর্ববর্ধমান:- বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচী ঘিরে আজ বিকালে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শহর বর্ধমানের কার্জনগেট চত্ত্বর। এদিন বর্ধমানের বড়নীলপুর ও বর্ধমান স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় দুটি বড় সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। বড়নীলপুরের সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে রাজ্যের শাসক দলকে তুলোধনা করেন সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মহঃ সেলিম। এরপর স্টেশন ও নীলপুর থেকে দুটি মিছিল শুরু হয়ে কার্জনগেট চত্ত্বরে পৌছায় । মিছিল জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে এগোতে চোষ্টা করলে পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকে দেয় ।
সেখানে দুপুর থেকেই বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল।পুলিশ মিছিল আটকালে বাম কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় ।বাম কর্মী ও সমর্থকরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে ইট পাটকেল ছুড়লে পাল্টা পুলিশও লাটি চার্জ করে । কার্জগেট চত্ত্বরে থাকা বিশ্ববাংলা লোগো ভেঙে উল্টে দেয় বাম কর্মীরা ।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ কাদানে গ্যাসের সেল ফাটানোর পাশাপাশি জল কামানও ব্যবহার করে।
জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন নিজে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসরে নামেন।মিছিল থেকে ছোঁড়া ইটের আঘাতে ৭ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন । পুলিশ গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।এজাড়াও বর্ধমান দক্ষিনের বিধায়ক খোকন দাসে কার্যালয় সহ প্রায় এক কিমি এলাকা জুড়ে বাম কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগানো পোস্টার, ফেস্টুন ভাঙচুর করে। পুলিশ সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী সহ ১৪০ জন বাম কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে।
গোটা ঘটনার জন্য সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম এদিন পুলিশকে দায়ী করে বলেন ,'পুলিশ জোরপূর্বক মিছিল আটকেছে ,টিয়ার গ্যাসের সেল ছুড়েছে । তারপর পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করেদেয় । পুলিশ কোন প্রটোকল মানে নি । বেপরোয়া লাঠি চার্জ করেছে ।' পুলিশকে লক্ষকরে সিপিএম কর্মীদের ঢিল ছোড়া ও কোন পুলিশ কর্মী আহত হওয়ার কথা মহম্মদ সেলিম মানতে চান নি।