সোমনাথ মুখার্জী ,পাণ্ডবেশ্বর:- পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার একটা ছোট্ট গ্রাম তিলাবনী । এই গ্রামটি বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাস । সেই গ্রামের বছর ২৪ এর যুবক সৈয়দ মোশারফ আনসারীর আবিষ্কার অবাক করেছে গ্রামবাসীদের। মোশারফ জানাই ছোট থেকেই ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রের তৈরির উপর ঝোঁক তার। বাবা একটা বেসরকারি কারখানার শ্রমিক । একেবারেই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার ।
মোশারফ জামাই বিভিন্ন কাগজে,টেলিভিশনে মহিলাদের উপর নানান সংকট আসার খবর দেখেছি। পুরুষ শাসিত সমাজে মহিলারা রাত্রিবেলা স্বাচ্ছন্দে কর্মস্থল থেকে বাড়ি আসতে নিরাপদ নয় । সেই থেকেই তার মাথায় আসে এমন একটা ডিভাইস যা জুতোর মধ্যে ইমপ্লিমেন্ট করলেই মিলবে সমাধান । তাই মোশারফ আবিষ্কার করে বসলো এমন একটা সেফটি ডিভাইস যেটা জুতোর মধ্যে ফিট করলে, সেই জুতো পরা অবস্থায় কোন মহিলা রাস্তাঘাটে যদি সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে সেই জুতোর থেকে রেজিস্টার করা পাঁচটা মোবাইল নাম্বারে পৌঁছাবে বিপদের ঘন্টা।
সেই জুতোতে থাকা ডিভাইস থেকে পাঁচটি মোবাইল নাম্বারে এসএমএস যাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে । এটাই শেষ নয় এসএমএসের সাথে সাথে যাবে কল । ফলে মহিলার পরিবারের লোকজন বুঝতে পারবে যে তাদেরকেও বিপদে পড়েছে । কল ও এসএমএস এর সাথে সেটটি ডিভাইস থেকে মোবাইল নাম্বারে যাবে লোকেশেনও । তাই তার আবিষ্কৃত এই টেকনোলজি জুতোতে ব্যবহার করে স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারবে মহিলারা বলে তার দাবি ।
তার এই আবিষ্কারের জন্য তার নাম উঠলো ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে। মোশারফ জামাই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস এর নাম ওঠায় খুশি সে বর্তমানে সে এম টেক করছে আগামী দিনে পিএইচ ডি করে আরো নতুন ধরনের আবিষ্কার করতে চাইছে । মোশারফ জানাই পাশাপাশি এশিয়া বুক অব রেকর্ডস ও ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস এ তার নাম নথিভুক্ত হয়েছে । প্রত্যন্ত গ্রাম তিলাবনীর গ্রামের ছেলের এই প্রাপ্তিতে গর্বিত এলাকার মানুষ ।