তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:- ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়লো কাঁকসা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার সকালে কাঁকসার বামুনাড়া এলাকায় একুশে জুলাই এর সমর্থনে তৃণমূলের দেওয়াল লিখন কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব বেধে যায়।কাঁকসার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধানের স্বামীর অভিযোগ একুশে জুলাই এর সমর্থনে তারা এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বামুনাড়া অঞ্চলে বেশ কিছু দেওয়াল লিখন এর জন্য দেয়াল লিখন শুরু করেছিলেন। এরপরই স্থানীয় কিছু তৃণমূল সমর্থক তাদের উপর চড়াও হয় এবং তাদের দেওয়াল লিখনে বাধা দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকা জুড়ে।
শুক্রবার এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।এরপরই অস্বস্তিতে পড়ে কাঁকসা ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে শনিবার কাঁকসা ব্লকে শুরু হয় রাজনৈতিক তর্যা।সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে পানাড় থেকে বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি রমন শর্মা বলেন 'দলীয় কোন্দল তৃণমূলের মধ্যে নেই। দ্বন্ধ টা হল তোলামুলের । দলটা ও তৃণমূল আর নেই দলটা উপর থেকে নিচে পর্যন্ত তোলা মূলে পরিণত হয়েছে। দলের মধ্যে তোলাবাজি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। যে যত তোলা তুলে দিতে পারবে তার উপর বেশি আশীর্বাদ। এটাই এদের কালচার। গোটা পশ্চিমবঙ্গ কে এগিয়ে বাংলা বানিয়ে রেখেছে এরা। বলার কিছু নেই, গোটা পশ্চিমবাংলাকে এরা হাসির বাংলা বানিয়ে রেখেছে।'
যদিও এই প্রসঙ্গে কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের যুব সহ সভাপতি সমরেশ ব্যানার্জি জানিয়েছেন 'গোটা ঘটনা দলের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবেন। শুক্রবার ঘটা এই ঘটনার সমস্ত বিষয় জেলা নেতৃত্ব জানে। তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটা সবাইকে মেনে চলতে হবে।তবে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা কাম্য নয় কারণ দলের নির্দেশে সবার অধিকার আছে দেওয়াল লিখনের। যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে তাই কর্মীদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সবাইকে একসাথে নিয়ে দলের কর্মসূচি সফল করা হবে।'
অপরদিকে তিনি বলেন '২০২১ সালে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের যে সংস্কৃতি তার সম্পর্কে যারা জানেনা। বহিরাগত কিছু নেতৃত্বকে নিয়ে এসে বারংবার বিজেপি ভেবেছিল পশ্চিমবঙ্গে তারা ক্ষমতায় চলে আসবে। তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম কোথায়? সেটাই জানেনা। এমনকি বর্ণপরিচয় কে লিখেছে সেটাও তারা জানে না। যারা বাংলার সংস্কৃতি জানেনা তারা কিভাবে তৃণমূল কে সংস্কৃতি শেখানোর চেষ্টা করছে। এটাই তাদের কাছে বড় হাস্যকর বিষয়।'