নীলেশ দাস, আসানসোল :- নরসামুদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। সোমবার বিদ্যালয়ের পরিদর্শন করে পরিকাঠামো ঘুরে দেখেন। ঘুরে দেখার পর বিদ্যালয়ের সমস্যা তুলে ধরেন, বিশেষ করে বিদ্যালয়ের শৌচাগার সহ মিডডে মিল ব্যাবস্থা এবং বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো নিয়ে এদিন সোচ্চার হন তিনি।
এদিন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নি মিত্রা পল বলেন,বিভিন্ন গার্জেনদের অভিযোগ আমার কাছে এসেছিল এবং কিছুর গার্জেন ফোনও করেছে। এই স্কুলে পরিদর্শনে এসে দেখি যে ওনারা যে সমস্ত অভিযোগগুলো করেছে প্রত্যেকটা সঠিক এই স্কুলটি বহু পুরনো। বাথরুমে দেখলাম কোন হাইজেনিকের ব্যবস্থা নেই। একই বাথরুমে সমস্ত বাচ্চারা সারাদিন যাচ্ছে জল ঢালার কোন ব্যবস্থা নেই। ক্লাস ফাইভের ছাত্রীরা অনেক বড়ই হয়ে যায় তাদের শারীরিক কিছু সমস্যাও থাকে। সে সময় তারা কি করবে, বাচ্চাদেরকে জল নিয়ে আসতে হয়। বাথরুমে বাচ্চারা কেনই বা জল নিয়ে আসবে বাথরুমের জন্য।
পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জানিয়েছেন শৌচাগার বিষয়ে বাথরুমের পাইপলাইন করা নেই যার ফলে শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের অসুবিধা হয়। বিদ্যালয়ের ফান্ড চলে এলেই পাইপলাইন করার পর সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। অন্যদিকে অগ্নি মিত্রার অভিযোগ 'মিডডে মিলে ডিম দেওয়া হয়না। এদিকে বিদ্যালয় ঠিক মত সংস্কার করা হয়না' এই সকল অভিযোগ পেয়েই এদিনের পরিদর্শনে যান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল।
আসানসোল পৌর নিগমের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমিত মাজি জানান,ডিআই অফিসে ইনফরমেশন নেয়ার পর উনি যদি স্কুলের অভিযোগ করতেন সেটা হয়তো ভালো হতো, ওনার অভিযোগ যে স্কুলে বাথরুম হাইজেনিক নেই, জল নেই প্রতিদিন মিডডে মিলের বাচ্চাদের ডিম দেওয়া হচ্ছে না কেন। উনার অভিযোগ যে সমস্ত টাকা তৃণমূল নেতা এবং কাউন্সিলররা নিচ্ছে।এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিডডে মিলে টাকা ইস্কুলের একাউন্টে আছে।
অন্যদিকে এক শিক্ষিকা জানান, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রশাসনিক নেতৃত্ব রায় স্কুল পরিদর্শনে আসে আজকে দিদি এসেছেন আমরাও চাইবো যে আমাদের এই স্কুলের জন্য কিছু আর্থিক অনুদান আসে এর ফলে আমাদের স্কুল বাড়ি রং করে সাজাতে পারব। এছাড়াও বাথরুমের যে ব্যাপারটা বলছেন সেটা আমরা নিজেদের খরচা থেকেই সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করায়।