Type Here to Get Search Results !

প্রশাসন,হিমঘর কতৃপক্ষ এবং চাষীদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হল



সংবাদাতা,পূর্ব বর্ধমান :- আগামী ৬ই জুন একটা সমাধানসূত্র মিলবে। এই আশাতেই আপাতত থাকবেন চাষীরা। গত পরশু আলুর নায্য দামের দাবিতে বিক্ষোভের পর আজ প্রশাসন ; হিমঘর কতৃপক্ষ আর চাষীদের বৈঠকে এইরকম একটা সিদ্ধান্ত হল।












হিমঘরে থাকা আলু পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মেমারির রসুলপুর  এলাকায় জিটি রোড অবরোধ করে হিমঘরের সামনে রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল চাষী ও আলু ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশকারী চাষীদের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। আজ সোমবার হিমঘর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে , মেমারি১ ব্লক আধিকারিক, ও মেমারি এক পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিকরা সহ  মেমারি থানার পুলিশের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয় চাষীদের সঙ্গে।











 চাষিরা জানাচ্ছেন ; হিমঘরে রাখা আলু তারা  ফিরিয়ে নেবেন না। কারণ ;হিমঘরের আলু পচে যাওয়ায় পুরোপুরি ভাবে নষ্ট হয়েছে  সেই আলু। তাই ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ দাবি করছে চাষীরা।তারা এগারোশো টাকা প্রতি প্যাকেটে দাবি করছেন হিমঘর  মালিক ও কর্তৃপক্ষের কাছে।













 এই ম্যারাথন বৈঠকে  ঠিক হয় ;আগামী ৬জুন  চূড়ান্ত পর্যায়ের সিদ্ধান্তে আসা হবে।  মাঝের সময়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ, চাষী, ব্যবসাদার সমিতির আধিকারিক, ব্লক আধিকারিকের প্রতিনিধি  উপস্থিত থেকে পর্যালোচনা করবেন। তবে হিমঘরের মালিকপক্ষ চাষীদের দাবি অনুযায়ী  প্রতি প্যাকেটে আঠারোশো  টাকার পরিবর্তে এগারোশো টাকা দিতেও এখনো সম্মত হন নি।













 ১০৯ প্যাকেট আলু রেখেছেন সুমিতা ঘোষ নামের একজন মহিলা চাষী।  তার কথায় বেসরকারি সংস্থার ঋণ  নিয়ে এমনকি গহনা বন্ধক দিয়ে চাষ করেছেন।  মাঠে আলু না বেচে হিমঘরে রেখেছেন।তাই পচে যাওয়া আলুর ক্ষতিপূরণ না পেলে প্রশাসনের সামনে আত্মহত্যা করবেন বলেও দাবি তার। 













অন্য আর এক চাষী শেখ মফিজ জানান; আপাতত তারা প্রশাসনের কথায় আশ্বাস রাখছেন। ও সি কথা দিয়েছেন। পাওনাদার আপাতত অপেক্ষা করতে বলেছেন।তাদের বেঁধে দেওয়া এগারোশো টাকার দর মেনে নিতে সম্মত তারা।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad