সংবাদাতা, দুর্গাপুর:- শ্মশানের জমি দখল করে প্রোমোটার চক্র চালানোর অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় পুরোমাতাকে হেনস্তার অভিযোগ, ঘটনা কে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং কমব্যাট ফোর্স এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার বেনাচিতির জে.কে.লেন এলাকায় রাস্তা দখলকে কেন্দ্র করে প্রোমোটারদের এবং মন্দির কমিটির মধ্যে বচসা থেকে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সমস্যা মেটাতে এলে পুরোমতাকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। পুরমাতা অসীমা চ্যাটার্জির অভিযোগ, বিজেপি নেতৃত্বদের নিয়ে প্রোমোটারী করছে বেশ কিছু দুষ্কৃতী। তরাই এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এবং কমব্যাট ফোর্স। পুরসভার হস্তক্ষেপে হয় জায়গা মাপার কাজ। পুরসভার ম্যাপে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে শ্মশানের জায়গা এই রাস্তা। এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা।
প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন আগে থেকে আবাসন তৈরি হচ্ছে বেনাচিতির জে.কে.লেন সংলগ্ন এলাকায়। আবাসনের পাশে রয়েছে মন্দির। মন্দিরের পাশে চলে গিয়েছে একটি রাস্তা। মন্দির কমিটির অভিযোগ আবাসন তৈরির পেছনে প্রোমোটাররা ওই রাস্তা দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
অন্যদিকে আবাসন কতৃপক্ষের দাবি আবাসনের প্রবেশদ্বারের জন্য ওই রাস্তা ছেড়ে দিতে হবে। মন্দির কমিটির পেছনে রয়েছে বিজেপি চক্র বলে অভিযোগ আবাসন কর্তৃপক্ষের। এই নিয়েই টানাটানি চলছে বিগত কয়েকদিন ধরে। সোমবার সকালে এই নিয়েই শুরু দুই পক্ষের উত্তেজনা। ১৫নম্বর ওয়ার্ডের পুরোমাতা সমস্যা সমাধান করতে এলে তাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এসিপি দুর্গাপুর প্রবুদ্ধ বন্দোপাধ্যায়। সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে মাপজোগের জন্য সাহায্য নেওয়া হয় দুর্গাপুর পুরসভার আমিনদের। পুরসভার আমিন মহম্মদ শেরাফত আলী জানান মাপযোগের পর তাদের ম্যাপে প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে এটি শ্মশানের রাস্তা। পূর্ণাঙ্গভাবে কয়েকদিন পর এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে পুলিশের কাছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এসিপি দুর্গাপুর প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত চালানো হচ্ছে।