সংবাদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- যুবতী খুনে যাবজ্জীবন বাবা ও দাদার।নির্দেশ বর্ধমান আদালতের।নৃশংসভাবে খুন করে দেহ লোপাটের দায়ে যুবতীর বাবা ও দাদা কে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিলো বর্ধমান ফাস্ট ট্রাক কোর্ট।
বর্ধমান ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক সুব্রত চ্যাটার্জীর এজলাসে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২,২০১ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বিচারক সুব্রত চ্যাটার্জী অভিযুক্তদের সশ্রম কারাদন্ডের নির্দেশ দেন।
কেসের সরকারী আইনজীবি সঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান,গত ৩১ শে অগষ্ট ২০১৮ সকালে জামালপুর থানার নবগ্রাম ময়না এলাকায় ২ নং জাতীয় সড়কের ধারে গলায় দড়ি ও ওড়না জড়ানো যুবতীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে যুবতীকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়।দেহ ময়নাতদন্তে পাঠালে যুবতীর ঊরুতে মেহেন্দী দিয়ে লেখা বেশ কয়েকটি ফোন নম্বর ও 'করণ' বলে একটি নাম পাওয়া যায়।
এরপরই মোবাইল নম্বারের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে যুবতীর নাম জাহানারা খাতুন (১৯)।বাড়ি বিহারের মুজাফফর জেলার মোশাহারী চক এলাহাদাদ গ্রামে।গ্রামেরই করণ কুমারের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।ভীনধর্মে প্রেমের সম্পর্ক মানছিলো না যুবতীর পরিবার। তার জন্য যুবতীর উপর অত্যাচার চালানো হতো।এমনকি যুবতী দু বার করনের বাড়িতে চলে যায়। যুবকের বাড়ি থেকে ফিরিয়ে এনে যুবতীকে এরপর শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো।
পরে কলকাতায় বিয়ে দেওয়ার নাম করে যুবতীকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয় যুবতীর বাবা মহঃ মোস্তোফা ও দাদা মহঃ জাহিদ।পরে যুবতীকে নৃশংসভাবে খুন করে দেহ জামালপুরের নবগ্রামের ময়না এলাকায় ২ নং জাতীয়সড়কের ধারে ফেলে যায়।এর পরই তদন্তকারী অফিসাররা কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত মহঃ মোস্তফা ও মহঃ জাহিদ কে গ্রেপ্তার করে।
যদিও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবি চৌধুরী নাজমে আলম জানান,এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।অন্যদিকে তাদের ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবী করেন বোন কে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত যুবতীর দাদা মহঃ জাহিদ।