সংবাদাতা,পূর্ব বর্ধমান:-গ্রাম সদস্য ও গ্রামবাসীদের না জানিয়েই গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠলো পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীরা আটক করে দুটি কাটা গাছ বোঝাই ট্রাক্টর। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ঘোলদা গ্রামে। ভাতার ব্লকের সাহেবগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোলদা গ্রাম সংলগ্ন ক্যানেলে চকচকে পুল থেকে ভেটাগোর পর্যন্ত ৫০ টিরও বেশী, সোনাঝুরি, শিশু ও তাল গাছ ছিল। ঘোলদা গ্রামের মানুষজন তার রক্ষণাবেক্ষণ করতেন।
বর্তমানে ক্যানেল সংস্কারের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানকে গাছ কেটে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন ক্যানেল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, ঘোলদা গ্রাম সদস্য ও গ্রামবাসীদের অজান্তেই সেই বিক্রি করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা কাটা গাছ বোঝায় ট্রাক্টর দু'টিকে গ্রামে আটক করে রাখে। এই গাছ কিভাবে বিক্রি হচ্ছিল এই নিয়ে গ্রামে মানুষদের মধ্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
এ বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শেখ হারাধন বলেন, দিন পনের আগে পঞ্চায়েত প্রধান গাছ কাটার জন্য বলেছিলেন। ঈদ উৎসবের পর গ্রামের মানুষ জনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে প্রধানকে জানানো হয়। তার দাবি কোন আলোচনা ছাড়াই বুধবার সেই গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। কত টাকার টেণ্ডার হয়েছে বা টেণ্ডার আদৌ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তার জানা নেই।
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ সাহেবগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিনয় কৃষ্ণ ঘোষ । তার দাবি গ্ৰাম সদস্যের সঙ্গে বহুবার আলোচনা করা হয়েছে। ক্যানেল সংস্কারের জন্য ক্যানেল কর্তৃপক্ষ বারবার চাপ দেওয়ায় গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটা হচ্ছিল সে কথা স্বীকার করে নেন তিনি।
গ্রাম সদস্য ও গ্রামের মানুষের অজান্তে গাছ বিক্রি জন্যে দুটি গাছ বোঝাই ট্রাকটি আটক করেছে গ্রামবাসীরা।ভাতারের বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।