তনুশ্রী চৌধুরী, কাঁকসা:- রবিবার বিকালে শান্তিনিকেতন সবুজ সংকল্প সোসাইটির উদ্যোগে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা থানার অন্তর্গত বসুধা শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির প্রাঙ্গণে ৷
কচি- কাঁচা রা মেতে উঠে কবিতা, গান, অংকন ও নৃত্যের মাধ্যমে ৷ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের সবুজায়নের ভাবনাকে মাথায় রেখেই এই প্রয়াস ৷ দিনের পর দিন যেভাবে বিশ্বউষ্ণায়নের প্রভাব বেড়ে চলেছে তাতে নয়া- প্রজন্মের শিশুরাও টের পাচ্ছে। তাদের মনে সবুজায়নের বীজ পুঁতে দেওয়াই উদ্যোক্তাদের আসল উদ্দেশ্য ৷
প্রতিনিয়ত যেভাবে অরণ্যসম্পদ ধ্বংস হচ্ছে কতিপয় অসাধু মানুষের চাক্রান্তে তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে বিশ্ববাসীকে ৷ এর থেকে মুক্তি পেতে বৃক্ষরোপণ, বীজবপন, বন্যপশু-পাখি ও গাছ- পালাকে আগুনের হাত থেকে রক্ষা করা - ইত্যাদি বিষয়ক সচেতনতা বোধ গড়ার লক্ষ্যে শান্তিনিকেতন সবুজ সংকল্প সোসাইটি করোনা কালের লক্ডাউনের পর্ব থেকে নানা কর্মসূচি পালন করে চলেছে ৷
এদিনের এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন -সমাজসেবী ও শিক্ষক শ্রী মাধব চন্দ্র হাওলাদার, ড. দেবব্রত কুনুই , হৃদয় কুমার মেটে, প্রিয়ব্রত মালিক, শংকর ভট্টাচার্য, রূপালী বিশ্বাস , ,অংকন শিল্পী ভাস্কর রায় ও স্বেচ্ছাসেবী সঞ্জয় দাস বৈরাগ্য মহাশয়, হৃদয় মিশ্র ও এলাকার বুদ্ধিজীবী সমাজ -সচেতন মানুষ ৷
সোসাইটির অন্যতম সক্রিয় কর্মী শ্রী মাধব চন্দ্র হাওলাদার ও হৃদয় কুমার মেটে মহাশয়ের মূল্যবান বক্তব্যে উঠে এল শান্তিনিকেতন সবুজ সংকল্প সোসাইটির পথচলার কথা ও সবুজ ভাবনার কথা ৷ ড. দেবব্রত কুনুই মহাশয় তিনি তাঁর ' সবুজ সংকল্প ' কবিতার মাধ্যমে বললেন -
'এসো গাছের নীচে পড়ে থাকা
অথবা পাকা ফল খেয়ে ফেলে দেওয়া
বীজগুলিকে মাটিতে পুঁতি
অথবা ছড়িয়ে দিই
বনে - জঙ্গলে , মাঠের ফাঁকা জায়গায় ৷ '
মহতী অনুষ্ঠানের শেষে উদ্যোক্তারা প্রতিযোগীদের পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি ৩০টি মেহগিনি চারা বিতরন করেন ৷