সংবাদদাতা, পাণ্ডবেশ্বর :- ইসিএলের পণ্য পরিবহনকারী ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে উল্টে গেলে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুজনের । আহত হলেন ন জন। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনাটি ঘটে রানীগঞ্জের দুই নম্বর জাতীয় সড়কের মঙ্গলপুর শিল্পতালুক এলাকায়।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় এদিন ইসিএলের সোদপুর ওয়ার্কশপ থেকে বাঁকোলা এরিয়ার কুমারডিহি এ কোলিয়ারি তে যাওয়ার পথে মঙ্গলপুর শিল্প তালুকের কাছেই শ্যাম এগ্রো সংস্থার সামনেই ঢালু রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডাম্পারটি চলে যাওয়ায় ড্রাইভের নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পড়ায় আচমকাই উল্টে যায় ডাম্পারটি । এদিনের এই ঘটনায় ওই ডাম্পারে থাকা 11 জনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়। বাকিদের গুরুতর আহত অবস্থায় রানীগঞ্জের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখানে 4 জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাদের দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মৃতরা হল উখরা 4 নম্বর এলাকার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের বিকালী রায় , কুমারডিহির বাসিন্দা ঠিকা কর্মী বছর পঁয়ত্রিশের ঝন্টু গরায়,। আহতরা হলো দুর্গাপুরের বাসিন্দা সুপ্রিয় মণ্ডল, ঝাঁঝরা কলোনির বাসিন্দা প্রমোদকুমার বিন্দ, গৌরণ্ডি পানুরিয়ার বাসিন্দা আব্দুল বারিক, উখড়া রবীন্দ্র পল্লীর বাসিন্দা বীরেন গড়াই, কুমারডিহির বাসিন্দা উত্তম বাউরী, বাকোলার বাসিন্দা বিজয় বাহাদুর আহির,কুমারডিহির বিশ্বনাথ নায়ক, তুফানি সাও ।এরা 9 জন আহত অবস্থায় রয়েছেন যাদের মধ্যে 4 জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এ দিল এ ঘটনার পরপরই রানীগঞ্জের ওই হাসপাতালে আহতদের দেখতে হাজির হন জামুড়িয়ার বিধায়ক হরে রাম সিং। তিনি এই ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন কিভাবে ঘটনা ঘটল তা নিয়েও তিনি তদন্ত করার দাবি করে।
তবে একটা প্রশ্ন উঠছে ইসিএলের পণ্য পরিবহনের গাড়িগুলো নিয়ে। জীর্ন দশা, না ভালো করে লাগেনা ব্রেক,না আছে ফিটনেস এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়দের একাংশ। তাও এই গাড়ি গুলো চলে ইসিএলে বলে অভিযোগ। আজ এতগুলো মানুষের প্রাণ সংশয়ে। দুটো প্রাণ চলে গেল । কে নেবে এর দায়িত্ব ? এর পর কি ইসিএলের আধিকারিকদের হুঁশ ফিরবে ? ব্যবস্থা হবে এই ধরণের গাড়িগুলো বাতিল করার?