তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:- কাঁকসার ফারাকি ডাঙ্গা আদিবাসী গ্রামে রয়েছে প্রায় ৫০টি আদিবাসী পরিবারের বসবাস। অধিকাংশ পরিবার কৃষিকাজ এবং দিনমজুরের কাজের উপর নির্ভরশীল।তাই বিকল্প হিসাবে রোজগারের পথ বেছে নিয়েছেন গ্রামেরই কুড়ি জন মানুষ।দিনমজুরের কাজের পাশাপাশি বিকল্প রোজকার হিসাবে তারা ৮ বিঘা জমির ওপর উচ্ছে চাষ শুরু করে। এমনিতেই কাঁকসা জুড়ে গ্রীষ্মকালে প্রবল গরম অনুভূত হয় স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছের একটা চাহিদা থাকে সমস্ত বাজারে।
সেই কথাকে মাথায় রেখে কুড়ি জন আদিবাসী মানুষ উচ্ছে চাষ শুরু করেন ঊষর মুক্তি প্রকল্পের মাধ্যমে।প্রায় তিন মাস আগে শুরু করা উচ্ছে চাষ বর্তমানে বেশ লাভজনক ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের। প্রতি আট দিন বাদে তারা তাদের জমির ফসল দুর্গাপুরের মামরা বাজার ও আশেপাশের বাজারে বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছেন।
এক কৃষক জানিয়েছেন তারা স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় উচ্ছে চাষ শুরু করেছিলেন গত ৩ মাস আগে। বর্তমানে সেই ফলন বেশ লাভজনক ব্যবসায় দাঁড়িয়েছে তাদের।প্রতি আট দিন বাবদ তারা তাদের উৎপাদিত ফসল দুর্গাপুর সহ আশেপাশের বাজারগুলিতে বিক্রি করে ভালো লাভের মুখ দেখছেন। এর ফলে গ্রামের অনেকেই স্বনির্ভর হয়েছেন। আগামী দিনে তাদের পরিকল্পনা রয়েছে এই চাষ আরো বড় জায়গায় করার যাতে এলাকার আরো বেশ কিছু মানুষ বা যুবক চাষের মাধ্যমে স্বনির্ভর হতে পারে।
কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দেবদাস বক্সী জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ঊষর মুক্তি প্রকল্পের মাধ্যমে নানান ধরনের সবজি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা।পাশাপাশি মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের মাধ্যমে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ দের স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নিয়ে নানান প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে কাঁকসা ব্লকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের স্বনির্ভর করতে সরকারি নানান প্রকল্পের মাধ্যমে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের স্বনির্ভর করার চেষ্টা চলছে এবং পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে সব রকম ভাবে তাদের সাহায্য করা হচ্ছে।