সংবাদদাতা অন্ডাল :- কথিত আছে আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে এই বুড়ো শিব মাটি ভেদ করে ওপরে উঠে এসেছিলেন । জনশ্রুতি আছে যে তৎকালীন সময় কোনো এক কৃষক চাষ করার সময় তাঁর লাঙ্গলের ফলে লাগে কোনো এক বস্তু সেখান থেকে রক্ত বের হতে দেখেন তিনি ।সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার খবর ছড়াতেই প্রচুর মানুষ ভিড় জমান সেখানে মাটি করে দেখা যায় মাটির ভেদ করে ওপরে উঠে এসেছে শিবলিঙ্গ ।তৎকালীন বর্ধমানের রাজার নির্দেশে বুড়ো শিবের প্রতিষ্ঠা হয় । ঘটনাটি অন্ডালের মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাবুইসোল গ্রামের ।
সেই সময় থেকেই ভক্তিভরে প্রাচীন রীতিনীতি মেনে আজও এই শিবলিঙ্গের পুজো হয়ে আসছে। এই দিনটিকে শিবের গাজন হিসেবে মেনে আসছেন এলাকার মানুষ । প্রথমে ছোটখাটো ভাবেই চলত এই পুজো ধীরে ধীরে গ্রামের শ্রীবৃদ্ধি হওয়ায় পুজোতেও লেগেছে জাঁকজমকের ছোঁয়া ।তবে জাঁকজমক বাড়লেও প্রাচীন রীতিনীতির কোনোটাই বাদ যায়নি এখনো ।এই পুজোকে ঘিরে বর্তমানে এলাকায় সাজো সাজো রব,বসে মেলা । তবে দীর্ঘ দুই বছর কোরোনা অতি মারির কারণে পুজোর জাঁকজমক বন্ধ ছিল রীতিনীতি মেনেই হয়েছিল পুজো। এবারে কোরোনা সংক্রমণ সীমিত হওয়ায় আনন্দে ভরপুর আনন্দে মাততে একটুও পিছুপা নন এলাকার মানুষ ।পুজোকে ঘিরে চলছে মেলা ।
মন্দিরের বর্তমান সেবাইত দিলীপ ঘোষ জানান,আনুমানিক প্রায় একশো বছর আগে চাষারা চাষ করার সময় চাষাদের হালে মাটির নিচে লাগে কোনো বস্তু । সেখান থেকে নির্গত হতে থাকে রক্ত ।ভয় পেয়ে যান সে সময় চাষারা ।ভাবতে থাকেন নিশ্চয়ই কোনো জন্তু কে আঘাত করে ফেলেছেন অজ্ঞানতাবশত ।মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে শিবলিঙ্গ ।তারপর থেকেই বর্ধমানের রাজাদের অনুপ্রেরণায় উদ্যোগেই চলে আসছে এই পুজো ।আজ রাজা নেই জমিদারিও নেই এলাকার মানুষের অনুদানেই চলে এই পুজো । তবে পুজোর তে প্রাচীন রীতিনীতির কোনো টাতেও খামতি নেই আজও ।