তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:- কাঁকসার রাউথডিহি গ্রামের জেলেদের জালে উঠে আসা মোটর সাইকেল থানায় জমা না দেওয়ায় বিতর্ক বেড়েছে এলাকায়। বর্তমানে অজয় নদ দিয়ে যে পরিমানে জল বইছে তা প্রায় অধিকাংশ জায়গায় হাঁটু পর্যন্ত। তাই একটু গভীরে গিয়েই জেলেরা জাল ফেলে মাছ ধরছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ অজয় নদে জাল ফেলতেই জালে একটা কিছু ভারি বস্তু আটকেছে বুঝতে পারেন জেলেরা। জেলেরা জলে নেমে বুঝতে পারেন ওটি একটি মোটর সাইকেল। জলে নেমে সেটিকে পাড়ে নিয়ে আসেন তারা।
অনেকেই মনে করছেন গত বর্ষায় ভারি বৃষ্টির জেরে অজয়ের উপরে অস্থায়ী সাঁকো ভেঙে মোটরবাইক সমেত দুই ব্যক্তি জলে পড়ে যান। দুইজন পাড়ে উঠতে পারলেও মোটর সাইকেলটি ভেসে গিয়েছিলো । জল কমতেই সেই মোটরসাইকেলটি উঠে এসেছে বলে অনুমান স্থানীয়দের । জেলেরা মোটর সাইকেল টি পাওয়ার পরে নিজেদের বাড়িতেই এনে রেখেছেন । এখনো পর্যন্ত তারা সেই মোটর সাইকেলটি থানায় জমা দেন নি বলে পুলিশ সূত্রে শেষ পাওয়া খবর।
আর এই বিষয় নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। আইন অনুসারে বেওয়ারিশ কিছু পাওয়া গেলে তা নিকটবর্তি থানায় জমা দিতে হয় ।কিন্তু রাউথডিহির ওই জেলেরা মোটর সাইকেল টি থানায় জমা না দিয়েই নিজেদের বাড়িতে এনে রেখেছেন । শুধু তাই নয় তাদের ঘোষণা তাদের কাছে আসল নথিপত্র দেখিয়ে খরচ দিয়ে নিয়ে যেতে হবে মোটরসাইকেল। এই ঘটনায় জঙ্গল মহল জুড়ে বিতর্ক বেড়েছে ।
আইনকে কিভাবে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাউথডিহির জেলেরা নিজেদের বাড়িতেই উদ্ধার হওয়া বাইক রেখেদিল তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে । কার মোটরবাইক তা খতিয়ে দেখার কোন অধিকার নেই এই জেলেদের । জেলেদের উচিৎ ছিল মোটর বাইক উদ্ধার হওয়ার পরে পুলিশে জানানো এবং পুলিশের কাছে মোটর সাইকেলটি নিয়ে যাওয়া । তা না করে কিভাবে নিজেদের ইচ্ছা মতো বাইক আটকে রেখে দেয় জেলেরা সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন জঙ্গল মহলের বাসিন্দাদের একাংশ । যদিও কাঁকসার মলানদিঘি ফাঁড়ির পুলিশ সুত্রে বলা হয়েছে তারা মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে নিয়ে আসবেন।