নীলেশ দাস, আসানসোল :- বৃহস্পতিবার আবারো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো ঝাড়খণ্ডের চিরকুন্ডা থানার অন্তর্গত ডুমরিজোড় অঞ্চলে।অবৈধ কয়লা খনিতে খনন করার সময় হঠাৎ করে ডুমরিজোড়ে মাটির রাস্তা বসে যায়।জেসিপি দিয়ে মাটি কেটে খনির ভিতরে কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন।স্থানীয়দের দাবি করেন এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি অবৈধ কয়লা খনি আছে।এই খনি গুলিতে শত শত মানুষ প্রতিদিন গভীর গর্তের ভেতরে ঢুকে কয়লা কাটে।স্থানীয়রা জানায় অবৈধ খননের সময় ডুমরিজোড়ে রাস্তা বসেছে, বেশ কয়েক জন লোক নিচে চাপা পরে থাকতে পারে বলে জানান।
এক স্থানীয় জানায় পঞ্চায়েত সদস্য জানান আমরা বরাবর বলেছিলাম যে এই অবৈধ খাদান বন্ধ করা হোক। কিন্তু অবৈধ খাদান বন্ধ করা হয়নি ।আমরা চাইছি যে এই অবৈধ খাদান বন্ধ হোক এবং মাটির নিচে যে সমস্ত শ্রমিকরা চাপা পড়ে আছে তাদের উদ্ধার করে তাদের মৃত শরীর আমাদের সামনে আনা হোক।
আরও এক স্থানীয় বলেন যে পুলিশ প্রশাসন একবার করে আসে আর এ সমস্ত অবৈধ খাদান গুলোকে বন্ধ করে চলে যায় পরবর্তী ক্ষেত্রে আবার এরা এই ধরনের অবৈধ খাদান থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করে, এরকম বন্ধ আর খোলার জন্য এই দুর্ঘটনা বলে মনে হয়। আমরা চাইছি যে এইরকম অবৈধ খাদান গুলোকে বন্ধ করে দেওয়া এবং তাদের উপর নজরদারি চালানো। বিসিএসসিএল নিজের দায়িত্ব থেকে তারা এড়িয়ে যাচ্ছে। অবৈধ খাদান থেকে কয়লা চুরি হচ্ছে। এটা সরকারের সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে। এগুলোর দিকে নজর দেওয়া উচিত।
প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ চ্যাটার্জী বলেন নিরসা বিধানসভা কেন্দ্রে ডুমরিজোড় এ অবৈধ কয়লা উত্তোলন করে। প্রতিদিনই পশ্চিমবঙ্গের কিছু শ্রমিকরা এসে এই অবৈধ খাদান থেকে কয়লা উত্তোলন এর কাজের সঙ্গে যুক্ত। কোন রকম ভাবে দুর্ঘটনা ঘটে যায় ধসের কবলে পড়ে শ্রমিকরা। বেশ কয়েকজন শ্রমিক ভেতরে ঢুকে ছিল তারা এখন কি অবস্থায় আছে তার খবর এখনো পর্যন্ত জানিনা।
চিরকুন্ডা থানার ওসি জিতেন্দ্র কুমার বলেন যতটা জানতে পারা যায় যে সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটার সময় এই ঘটনা ঘটে। মাটি ধসে যাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে, কাঁচা রাস্তা ছিল যার মধ্যে বড় বড় ফাটল দেখা গেছিল এর কারনে হয়তো মাটি ধসের কারণে এই দুর্ঘটনা। বিসিএলের সহযোগিতায় আমরা দেখছি কেউ হতাহত হয়েছেন কিনা।