নীলেশ দাস, আসানসোল- আসানসোল শিল্পাঞ্চলে তাপমাত্রা বাড়তেই মানুষ প্রখর রুদ্র থেকে বাঁচতে বিভিন্ন ধরনের পানীয় জল সেবন করছে। ইতিমধ্যেই আসানসোল শিল্পাঞ্চলে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ছুঁই ছুঁই। মানুষ প্রখর রদ্রু থেকে বাঁচতে শরীরে হালকা রঙের পোশাক পরছে। মাথায় টুপি এবং ছাতা ব্যাবহার করছে। তবে যারা স্কুটি ও বাইক চালালেও হেলমেট না থাকলেও সাদা সুতির গামছা চোখ মুখ ঢাকা দিয়ে চালাচ্ছে।
তবে এই প্রখর রদ্রে মহিলারা হাত থেকে শুরু করে মাথা ও মুখ ঢাকার পাশাপাশি রদ্রু চশমা ব্যবহার করছে। অন্যদিকে যারা রিক্সা থেকে ভ্যান চালকরা তীব্র গরম কে উপেক্ষা করে এইভাবেই কাজ করে যাচ্ছে।তবে এদিন তীব্র গরমে শিল্পাঞ্চলে এমন একটি ছবি ধরা পড়লো ক্যামেরায়।
একটি ভিক্ষুক হাতের সাহায্যে যেভাবে ভিক্ষাবৃত্তি করে বেড়ালেও কিন্তু এতটাই গরমের তাপমাত্রা বেড়েছে যার ফলে সে হাতের সাহায্যে ভিক্ষাবৃত্তি করতে পারছে না। সে হাতের সাহায্যে প্রখর রুদ্র থেকে বাঁচতে শেষমেশ ছায়ার সাহায্য নেয়। তবে এই শিল্পাঞ্চলে এখনও সেরকম গরম না পড়লেও শহরের বেশ কিছু জায়গা বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তা পথ ঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। সেরকমই ছবি ধরা পড়েছে আসানসোলের শহরে।
গরম থেকে বাঁচতে কি কি করবেন তা নিয়ে বিশেষ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শেখ মোঃ ইউনুস। অতিরিক্ত গরমে জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বেরোবেন না। সকল সাধারণ মানুষদেরকে মেনে চলা উচিত এই যে প্রচণ্ড গরমে। এই গরম থেকে নিজের শরীরকে কিভাবে সুস্থ রাখবেন? প্রথমত দুপুর ১২ টা থেকে চারটের মধ্যে যদি কোনো প্রয়োজন না থাকে তাহলে ঘর থেকে বের হবেন না।
আর যদি বাড়ির বাইরে বের হতে হয় সে ক্ষেত্রে ছাতা অথবা মাথায় টুপি নিয়ে বের হবেন। সঙ্গে জল রাখবেন শরীর থেকে প্রচুর ঘাম বের হচ্ছে যার কারণে শরীরে লবণ কমে যাবে সেক্ষেত্রে আপনাকে নুন চিনির জল অথবা ওআরএস পানীয় আপনাকে অতি অবশ্যই খেতে হবে। আর খাবার হিসাবে সহজপাচ্য খাবার খাওয়াই ভালো মূলত জল বেশি পরিমাণে খাবেন। রীচ খাবার এড়িয়ে চলুন এতে শরীর ভালো থাকবে।কবে দিবে সস্থির বৃষ্টি সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের মানুষ।
.webp)
%20(1).webp)