শুভময় পাত্র,বীরভূম:- বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University) কে বাঁচাতে উপাচার্যের করজোড়ে আবেদন বাঙালি তথা ভারতবাসীর কাছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মুখ খুললেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন কে ঘিরে রীতিমতো অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে গোটা বিশ্বভারতী (Visva-Bharati) জুড়ে। কিন্তু বিগত দিনে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ তথা উপাচার্য কোনরকম বার্তা ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছায়নি। এদিন তিনি এক ভিডিওবার্তায় তার প্রতিক্রিয়া জানালেন।
এদিনের এই ভিডিও বার্তায় বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, 'বিশ্বভারতীতে নোংরা রাজনীতি চলছে। আপামর বাঙালি ও বিশ্ববাসীর কাছে করজোড়ে অনুরোধ বিশ্বভারতী কে বাঁচানোর। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, আদালতের নির্দেশ থাকলেও আমরা বিশ্বভারতীর প্রধান কার্যালয় সেন্ট্রাল অফিস খুলতে পারছিনা। কারণ, সেন্ট্রাল অফিসের পূর্বদিকে একাউন্টস বিভাগের টাকা জমা দেওয়ার কাউন্টারের ওখানে ত্রিপল টানিয়ে তথাকথিত ছাত্র-ছাত্রী বা বহিরাগতরা ক্যাম্প করে রয়েছে। এমত অবস্থায় অফিস করতে পারছিনা। পাশাপাশি সেন্ট্রাল লাইব্রারি খুলতে পারছিনা। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই আশঙ্কায়।'
যদিও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, অবিলম্বে বিশ্বভারতীর হোস্টেল খুলে দিতে হবে। আদালতের নির্দেশের ৪৮ ঘন্টা পর বিশ্বভারতীর হোস্টেল খোলার প্রক্রিয়া শুরু করলো বিশেষ কমিটি। বিশ্বভারতীর খোয়াই ছাত্রী নিবাস, মৈত্রী ছাত্রীনিবাসে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পৌঁছলো বিশেষ কমিটি। গঠিত কমিটি একের পর এক হোস্টেল খোলার প্রক্রিয়া শুরু করলো। তবে অবশ্যই এই কমিটিতে পুলিশ ও বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) প্রতিনিধিরা থাকলেও পড়ুয়াদের কোনো আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের প্রতিনিধি নেই। সে নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ আদালতের নির্দেশ অবমাননা করছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
এদিন বৃহস্পতিবারও আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা তাদের দাবি-দাওয়া দিয়ে ভাষা ভবন থেকে আবারো শুরু করলো মিছিল। বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে চলছে আন্দোলনকারী বিক্ষোভ মিছিল। তাদের দাবি থেকে তারা অনড়। তাদের তিন দফা দাবি যতদিন না পূরণ হয়েছে ততদিন চলবে এই আন্দোলন এমনটায় জানিয়ে দিলেন বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীরা।