সংবাদাতা,পূর্ববর্ধমান:- রাজ্যপালের তলবে স্পীকারের না যাওয়া গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত অশোভনীয় যা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে বলে জানালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি আরও বলেন, শুধু স্পীকার নয় রাজ্যপালের প্রতি এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আচরণও অত্যন্ত অশোভনীয়, উনি বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করছেন। এর আগে কোন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মহামান্য রাজ্যপালের সাথে এই ধরনের আচরণ করেননি।
পাশাপাশি তিনি বলেন আমরা ভেবে ছিলাম সবাইকেই সাসপেণ্ড করবে।কিন্তু মাত্র দু'জন বিধায়ককে সাসপেণ্ড করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিধানসভায় অসংসদীয় আচরণ ও রাজ্যপালের ভাষণে বাধা দেওয়ায় বিজেপির দুই বিধায়ককে সাসপেণ্ড করা প্রসঙ্গে বুধবার বর্ধমানের জেলা কার্যালয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক হাত নেন।তিনি বলেন রাজ্য সরকার বিরোধীদের কণ্ঠস্বর হত্যা করতে চাইছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু মিথ্যা কথা বলেন।রাজ্য সরকার চলছে কেন্দ্রের টাকায়।অথচ তিনি বলছেন কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না।
জয়প্রকাশ মজুমদার সম্পর্কে তিনি বলেন, ওনাকে আমরা দল থেকে বহিষ্কার করেছিলাম তাকে তৃণমূল সেই পদেই বহাল করেছে। এর থেকেই বোঝা যায় বিজেপির এরাজ্যে ভাল দম আছে। বিজেপি থেকে রিজেক্টেট নেতারাও তৃণমূলে গিয়ে এক পদ পাচ্ছে।
পাশাপাশি তিনি বলেন বিজেপি কর্মীরাই বিজেপির সম্পদ, তারা নরেন্দ্র মোদীকে দেখে দল করেন। বিধায়ক হিরনের বিভীষণ প্রসঙ্গে সুকান্ত বাবু বলেন, আমার সাথে হিরনের কথা হয়েছে যা বলার তাকে পার্টির ভিতরে বলতে বলেছি। অন্য দল থেকে ভাঙিয়ে দল ভারি করার কথা বিজেপি ভাবছে না বলে জানালেন সুকান্ত বাবু,
দলে এলে বিজেপির মতাদর্শ মেনে আসতে হবে বলে জানালেন সুকান্ত বাবু। আজ বিজেপির বর্ধমান সদর জেলা কার্যালয়ে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথাগুলি বলেন তিনি।