সংবাদাতা,পূর্ববর্ধমান:- পুলিশের তৎপরতায় বন্ধ হল নাবালিকা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বিয়ে। সোমবার পুলিশের সহযোগিতায় মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসল ওই ছাত্রী। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার বেরুয়া গ্রামে বাড়ি।ছাত্রী মাহাতা হাইস্কুল থেকে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সোমবার থেকে শুরু হয় মাধ্যমিক পরীক্ষা।কিন্তু রবিবার রাতে পরিবারের লোকজন ওই পরীক্ষার্থীর বিয়ের বন্দোবস্ত করেন। খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ রবিবার রাতেই তার বাড়িতে পৌঁছে বিয়ে বন্ধ করে। ওই পরীক্ষার্থী যাতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারে তার জন্য পরিবারকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
পূর্ব বর্ধমানের তালিত এলাকার এক পাত্রের কয়েকদিন আগে বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু কোনক্রমে তাদের বিয়ে ভেঙে যায়। এরপরই ওই পাত্রপক্ষ ভাতারের বেরুয়া গ্রামের ওই নাবালিকা ছাত্রীকে দেখতে যায় ।পাত্রপক্ষ দূর সম্পর্কে ওই ছাত্রীর আত্মীয়। পাত্রপক্ষ মেয়েটিকে দেখতে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। ছাত্রীর পরিবার বিয়েতে রাজি হয়ে যায় এবং মেয়েকেও রাজি করায়। রবিবার রাতেই ওই নাবালিকা বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়। মেয়ের বাড়িতেও হাজির হয় পাত্রপক্ষ। খবর পেয়ে ছাত্রীর বাড়িতে যায় পুলিশ।পুলিশের উপস্থিতিতে বন্ধ করা হয় বিয়ে।
ভাতার থানার ওসি সৈকত মন্ডল জানিয়েছেন, রবিবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী নাবালিকার পরিবারের লোকজন হঠাৎ তার বিয়ের বন্দোবস্ত করেছে। তড়িঘড়ি সেখানে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়। এবং মেয়েটির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবে যাতে মাধ্যমিক পরীক্ষার সমস্ত বিষয়ের পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য পরিবারের লোকজনদের বোঝানো হয়েছে। সোমবার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে এরুয়ার বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন যাতে কোনরকম ওই ছাত্রীর মানসিক ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য বিডিও এবং চাইল্ডলাইনের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে।