সোমনাথ মুখার্জী, অন্ডাল:- কোলিয়ারি এলাকার বেশিরভাগ এলাকায় পানীয় জল ও খারাপ রাস্তার সমস্যায় ভুগছে মানুষ। রাস্তা মেরামত এবং পানীয় জলের দাবিতে, ইসিএল-এর কাজোরা এলাকার পড়াশকোল কোলিয়ারি (পশ্চিম) এর উত্পাদন ও পরিবহন ব্যাহত করে টিএমসি পতাকা নিয়ে জোরালোভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে স্থানীয়রা। স্থানীয় টিএমসি নেতা বীর বাহাদুর সিং, বহুলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, তাদের দাবির ন্যায্য জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করেন।
বীর বাহাদুর সিং বলেন, পড়াশকোল কলিয়ারির আশেপাশে বিপুল সংখ্যক কয়লা শ্রমিকের আবাসস্থল রয়েছে। কয়লা শ্রমিকদের বাড়িতে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা এবং এখানকার রাস্তাঘাট মেরামতের দায়িত্ব ইসিএল প্রশাসনের, কিন্তু ইসিএল প্রশাসন তার দায়িত্ব পালন করে না। এখানকার মানুষ পানীয় জলের সংকটে ভুগছে, যে জল আসে তা খুবই দূষিত যা ব্যবহার করা যায় না। এলাকার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা।
শুধু তাই নয়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে এলাকায় ধুলাবালি উড়ছে, এতে মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। কয়লা শ্রমিকদের কোয়ার্টার জরাজীর্ণ অবস্থায় যে কোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এলাকার ড্রেনগুলো ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ড্রেনে জমে আছে প্রচুর আবর্জনা। নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা ও ড্রেন মেরামতের অভাবে মানুষ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, কয়লা উৎপাদনে শ্রমিকের মূল্যবান অবদান রয়েছে, তাই প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া শ্রমিকদের অধিকার। তিনি বলেন, ইসিএল ম্যানেজমেন্ট শুধু কয়লা উৎপাদন করতে জানে, শ্রমিকদের সমস্যার সঙ্গে ম্যানেজমেন্টের কোনো সম্পর্ক নেই। উপরোক্ত সমস্যার বিষয়ে ইসিএল ম্যানেজমেন্টের কাছে বহুবার অভিযোগ করা হয়েছে এবং এসব সমস্যা সমাধানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, কিন্তু ব্যবস্থাপনার পক্ষ থেকে এসব সমস্যার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ কারণে জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ করতে বাধ্য হয়েছে।
এলাকার এজিএম এসকে চৌধুরীর সামনেও লোকজন সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করেন, যিনি একই বিক্ষোভের খবর পেয়ে আসেন। এজিএম এসকে চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি আমি এখানে বদলি হয়েছি, যার কারণে এখানকার সমস্যা সম্পর্কে আমি অবগত নই। অভিযোগের ভিত্তিতে দেরি না করে জনগণের সমস্যার সমাধান করা হবে। বিক্ষোভ চলাকালে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় কোলিয়ারির উৎপাদন ব্যাহত হয়। প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ শেষ হয়।