শুভময় পাত্র,বীরভূম:- নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কি ছিল সেই মর্মান্তিক ভয়াবহ ঘটনা, তা শোনেন মুখ্যমন্ত্রী তাদের কাছথেকে এবং পুরো ঘটনা শোনার পর পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দেন অবিলম্বে অ্যারেস্ট করতে হবে আনারুলকে, কারণ গ্রামবাসীরা বিপদের আভাস বুঝতে পেরে প্রথমে আনারুলকে জানিয়েছিল পুলিশকে খবর দিতে । কিন্তু আনারুল তা করেনি, এই কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
অবিলম্বে পুলিশের ডিজি কে নির্দেশ দেন আনারুলকে হয় আত্মসমর্পণ করতে হবে, নয়তো তাকে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি তিনি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রামপুরহাটের এসডিপিও এবং আইসির সমালোচনাও করেন। তিনি জানান এসডিপিও এবং আইসির আরো সক্রিয় থাকা উচিত ছিল, তাহলে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যেত।
মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ও পরিবার পিছু একজনের চাকরি এবং আহতদেরকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর কোটায় চাকরি দেওয়া হবে পরিবার পিছু একজনকে। সেক্ষেত্রে যারা চাকরি পাবেন তারা প্রথম এক বছর অস্থায়ী ভিত্তিতে থাকাকালীন পাবেন ১০ হাজার টাকা করে এবং এক বছর পর চাকরি পাকাপাকি হয়ে যাবার পর নির্ধারিত স্কেলে তারা বেতন পাবেন।
গ্রেপ্তার শেখ আনারুল, রামপুরহাটের তারাপীঠ এর কাছে হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় মোবাইলে ট্রাকিং করে। মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার পরপরই সাসপেন্ড করা হয় রামপুরহাটের এসডিপিও ও আই সি কে। রামপুরহাট এর নতুন এসডিপিও হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন ধীমান মিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর প্যাকেজ ঘোষণা ও ডিজি কে নির্দেশ দেওয়ার পরপরই রামপুরহাটের তারাপীঠ থেকে মোবাইল ট্র্যাক করে শেখ আনারুলের গ্রেফতারের ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে যেভাবে শাসক দলের উপর বিরোধীরা চড়াও হয়েছিল তাতে অনেক তাই জল ঢেলে দিতে পেরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।