Type Here to Get Search Results !

Asansol: আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে সাইবার অপরাধ নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হলো



নীলেশ দাস,আসানসোল :- আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে শনিবার আসানসোলের আশ্রম মোড়ের কাছে রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবে স্বর্ণ-ব্যবসায়ী, পেট্রল পাম্প মালিক, ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ও হোটেল মালিকদের নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা উপস্হিত ছিলেন। সম্প্রতি কমিশনারেট এলাকায় সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে অপরাধীরা লোপাট করে দিচ্ছে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের জমানো টাকা-পয়সা। দিনে-দুপুরে ডাকাতি হচ্ছে জনবহুল এলাকায়। কীভাবে এর মোকাবিলা করা যায় তা সবাইকে জানাতেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।

 


এই বৈঠকে ডি সি সেন্ট্রাল এস এস কুলদীপ সুরেশ অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে আজ আমরা ব্যাংক, জুয়েলারি সপ পেট্রোল পাম্প ও অন্যান্য যে সমস্ত সংস্থাগুলি রয়েছে তাদেরকে নিয়ে একটি অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্প করা হলো। এই অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পইন তাদেরকে বোঝানো হয় যে মেইন রোডের দিকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর জন্য। কারণ অনেক সময় অনেক রকম অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে যায় যার কোনো তথ্য-প্রমাণ থাকেনা। যদি মেইন রোডের দিকে সিসিটিভি ক্যামেরা গুলি থাকে তাহলে যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজ ধরা পড়বেন।  আরও জানান  এটা আমাদের সকলের কাছে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে একটা অনুরোধ থাকছে। তিনি আরো বলেন যে যদি কোন দোকান অথবা ব্যাংক সময় থেকে অধিকাংশ সময় সূচি খোলা থাকে তাহলে যেন পুলিশকে ইনফর্ম করে। অথবা যদি কোন চুরি বা অন্য কোন ঘটনা ঘটে তাহলে ঘটনা ঘটার সাথে সাথে পুলিশকে ইনফর্ম করেন এতে করে পুলিশ প্রশাসনের সুবিধা হবে ওই ঘটনার পুনঃ তদন্ত করার।


অন্যদিকে ব্যাংক আধিকারিক তারক সামন্ত  জানান যে আজকের এই মিটিংয়ে ডি সি সেন্ট্রাল ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের অফিসার জানান যে প্রতিনিয়ত মানুষের সাথে ঘটে যাচ্ছে সাইবার ক্রাইম। কিভাবে সেই সাইবারক্রাইম থেকে কাস্টমার কে বাঁচানো যাবে তার পূর্ণ ধারণা দেন। এমনকি ভিডিও আকারে আমাদের সেই অ্যাওয়ারনেস করা হয়। তিনি আরো বলেন যে কোন কাস্টমার যেন কোন রকম ওটিপি অথবা KYC সংক্রান্ত কোনো রকম তথ্য যেন কারো সাথে না শেয়ার করে। 


সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্যাংকের  আর এক আধিকারিক জানান যেভাবে  জালিয়াতি ঘটছে সেই জালিয়াতি থেকে বাঁচার জন্য এই ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর জন্য অনুরোধ করেন ডি জি পি ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের অফিসার, যাতে করে যেকোনো অপরাধমূলক কাজ তারা আওতায় ধরা পড়ে। এবং পুলিশের পক্ষে তা তদন্ত করার সুবিধা হবে বলে জানান।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad