সোমনাথ মুখার্জি, অন্ডাল :- পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা যাবে না এই দাবিকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল করে অন্ডাল (Andal) রেল আধিকারিককে স্মারকলিপি দিল এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
অন্ডাল রেল স্টেশন (Andal Station) সংলগ্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় পাঁচ'শ থেকে 600 টি দোকান। রয়েছে একটি সবজি হাট ও। দোকানদারদের দাবি ত্রিশ, চল্লিশ বছর ধরে তারা এখানে দোকান করছেন। সম্প্রতি রেলের পক্ষ থেকে আগামী 6 ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের দোকান খালি করে উঠে যাওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ পেয়ে স্বভাবতই উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার নোটিশ প্রত্যাহার ও পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে রেল আধিকারিক এর কাছে একটা স্মারকলিপি দিল তারা।
বিক্ষোভকারীদের পক্ষে দিলিপ মাঝি,শোভন পাল রা জানান, এখানে যারা দোকান করেন তাদের সকলের ঘর পরিবার রয়েছে। ব্যবসা করে-ই তাদের সংসার চলে। পুনর্বাসন বা বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করলে পরিবারগুলি রাস্তায় এসে দাঁড়াবে ।তাদের দাবি পুনর্বাসন না হলে এক টুকরো জমি তাঁরা ছাড়বেন না প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলন নামবেন তাঁরা।
এদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেতা (TMC) তথা রানিগঞ্জের টাউন সভাপতি রূপেশ যাদব।তিনি জানান,রেল যেভাবে আইন দেখিয়ে এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ,তারই প্রতিবাদ জানিয়ে রূপেশ বাবু বলেন 'আইন সবার জন্যই আছে, ভারতের সংবিধানে বেঁচে থাকার অধিকার সবার আছে।'
রেলের পরিত্যক্ত জায়গায় গরিব মানুষেরা কেউ ঠেলা লাগিয়ে কেউবা ছোটখাটো দোকান করে জীবন অতিবাহিত করেন। তাদের এভাবে উঠে যেতে বললে তাদের রুজি রুটি বন্ধ হবে । তাই আগে সেই লোকগুলিকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুক রেল, তারপরই উচ্ছেদ করুক। নইলে তারাও আইনের পথেই আন্দোলনে নামবেন।
অন্যদিকে আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম (DRM Asansol) পরমানন্দ শর্মা বলেন ,রেলের পরিষেবা আরও উন্নত করতে রেলের আশেপাশে ফাঁকা জায়গাগুলির প্রয়োজন যাতে যাত্রীদের আরও বেশি করে সুবিধা দেওয়া যায়।তিনি বলেন আসানসোল দূর্গাপুরে প্রায় কুড়ি লক্ষ যাত্রীর সুবিধার কথা ভেবে এই পদক্ষেপ।হয়তো এই পদক্ষেপে কিছু মানুষের সমস্যা হবে তবে বৃহত্তর স্বার্থে সবার এটা মেনে নেওয়া উচিত বলে তিনি জানান।