Type Here to Get Search Results !

আউশগ্রাম ২নং ব্লকের জঙ্গলে ঘেরা লবনধার গ্রাম মেতেছে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে



তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:- আউশগ্রাম ২নং ব্লকের জঙ্গলে ঘেরা বুদবুদ থানার অঙ্গরগত লবণধার গ্রাম। কয়েকমাস  আগে এই জঙ্গলঘেরা গ্রাম উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজনৈতিক খুনের জেরে । কিন্তু এবার লবনধার মেতেছে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে । একটাই বার্তা বিশ্বকে বাঁচাতে মাথায় থাকুক অরণ্য । আয়োজক লবণধার অন্নপুর্ণা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন । মাত্র এক বছর বয়স এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার । তার মধ্যেই বেশ আলোড়ন ফেলেছে আমজনতার মনে । 



এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান লক্ষ্য হল জঙ্গল সংরক্ষণ করা, বৃষ্টির জলকে ভুগর্ভস্থ করা , বনসৃজন এই সব বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং এগুলো বাস্তবায়িত করার জন্য। এছাড়া কিছু সামাজিক কাজ যেমন, রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা এমনটাই জানাচ্ছেন সংস্থার কর্তারা । অরণ্যে অন্নপুর্ণার এবছরের উৎসব বেশ আলোড়ন ফেলেছে গ্রাম ছাড়িয়ে শহরের বুকেও । 



স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে সভাপতি অর্ণব ঘোষ বলেন  “ এই বছরে অনুষ্ঠানটির আকর্ষণ হল দেওয়ালে চিত্র অঙ্কন কর্মশালা, যার মাধ্যমে আমরা সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে চাই বিশেষত জঙ্গল সংরক্ষণের বিষয়ে। এছাড়াও কিছু ঐতিহ্যবাহী চিত্র অঙ্কন করা হবে যা গ্রাম্য সংস্কৃতি কে তুলে ধরবে। আর আমরা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী কিছু সংস্কৃতি তুলে ধরতে চাই যাতে আমরা তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও বেশী করে অবহিত হতে পারি। 


এই অনুষ্ঠানটি ৪ দিন যাবত অনুষ্ঠিত হবে। ১৯ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে, তৃতীয় দিন অর্থাৎ ২১ তারিখে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে যা লবনধার গ্রামের ছেলে মেয়েরা অংশগ্রহণ ও পরিচালনা করবে।এইসব অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হল এখনকার প্রজন্মকে মুঠোফোনের মোহ থেকে মূল স্রোতে ফেরানো এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো মঞ্চে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা।



আর থাকছে কিছু প্রতিযোগিতা যেগুলি বিশেষত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষদের জন্যই, যেমন আদিবাসী নৃত্য ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক-পরিধান প্রর্দশনী প্রতিযোগিতা, যেগুলির মাধ্যমে আমরা ওনাদের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে চাই।



শেষ দিনে অর্থাৎ ২২ শে ফেব্রুয়ারি থাকছে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির। বলাবাহুল্য, এই অনুষ্ঠানের আকর্ষণ চিত্র অঙ্কন কর্মশালা, যা করার জন্য অনেক গুনী শিল্পীরা আসছেন অনেক দূরদূরান্ত থেকে যেটির পরিচালনায় রয়েছে বেঙ্গল আর্টিস্ট ওয়ারিয়র্স নামক একটি সংগঠন” ।



শুরু হয়েছে মাটির দেওয়ালে আবার কোথাও পাকা দেওয়ালে ছবি আঁকা । আঁকছেন গ্রামের অনেক ছেলে মেয়েই । তুলির টানে কোথাও ফুটে উঠছে কোথাও দেবদেবীর ছবি ।কোথাও ফুটে  উঠছে  বন্যজন্তুর ছবি । সংস্থার মতে এভাবে গ্রামের দেওয়ালে ছবির মাধ্যমে বাংলার লক সংস্কৃতি রক্ষা করা এবং সাথে সাথে সমাজ সচেতনতা বৃদ্ধি করার কাজও  করা হচ্ছে  ।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad