তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:-এখনও পর্যন্ত রোমানিয়া বর্ডারের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারেনি পানাগড় বাজারের রণডিহা মোরের বাসিন্দা ঝাপসি পালের মেয়ে শিখা পাল। শনিবার সকালে মেয়ের সাথে শেষ কথা হয় বাবার ও পরিবারের সাথে। পেশায় লোহা ব্যবসায়ী শিখার বাবা ঝাপসি পাল জানিয়েছেন শনিবার সকালে তার মেয়ের সাথে কথা হয় তারা এখনো বেসমেন্টের মধ্যেই রয়েছে।
রোমানিয়া বর্ডারের উদ্দেশ্যে তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য শুক্রবার থেকে বাসের ব্যাবস্থার কথা জানানো হলেও শনিবার পর্যন্ত বাস না আসায় এখনও তারা বেসমেন্টের মধ্যেই কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কখনো খাবার জুটছে, আবার কখনো না খেয়ে থাকতে হচ্ছে তার মেয়ে শিখা পাল এবং অন্যান্য ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়াদের।
ইউক্রেন থেকে শিখা জানিয়েছে সাইরেন বেজে উঠলে সব কাজ ছেড়ে তাদের বেসমেন্টের ভেতরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। সাইরেন বন্ধ হলে তখন নিজেদের রুমে ঢুকে কোনো রকমে রান্না করে তবেই খাবার জুটছে তাদের। ইতিমধ্যে তিনি কাঁকসার বিডিওর কাছে তার মেয়ের পাঠানো সমস্ত ভিডিও ও নথি তিনি পাঠিয়েছেন এবং মেয়ে যাতে দ্রুত ভারতে ফিরতে পারে প্রশাসনের কাছে সেই আবেদন করেছেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন ২০১৮ সালে ডাক্তারি পড়ার জন্য শিখা পাল ইউক্রেনে যায়।সেখানেই ডাক্তারি পড়ছিলো সে।৬বছরের ডাক্তারি পড়ার মধ্যে ইতিমধ্যে সে ৪ বছর সেখানে পড়াশোনা করেছে কমপ্লিট করে নিয়েছে। আর মাত্র ২বছর তার বাকি রয়েছে।হটাৎ করে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় সেখানে আটকে পড়ে বহু ভারতীয় পড়ুয়া। শনিবারও মেয়ের বাড়ি ফেরার কোনো ব্যবস্থা না হওয়ায় চিন্তায় পড়ে গোটা পরিবার। সরকারের কাছে তিনি আবেদন করেছেন যাতে তার মেয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারে।