সোমনাথ মুখার্জি,অন্ডাল :- ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল অন্ডালের কাজড়া এলাকায়। ১০০ দিনের কাজে গন্ডগোল নিয়ে তৃণমূলের দুই পক্ষের সংঘাত।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ অন্ডালের কাজড়া মোড় সেন্ট্রাল তৃণমূল কার্যালয়ে । ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার বরিষ্ঠ তৃণমূল নেতা গৌতম মজুমদার জানান ,সেন্ট্রাল কাজড়া এলাকায় এক মহিলার জব কার্ড থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ১০০ দিনের কাজ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, বলে তাঁর কাছে অভিযোগ আসে।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গৌতম বাবুরা এ নিয়ে থানায় যাও থানায় গিয়ে দুই পক্ষের আলোচনায় সুষ্ঠু মীমাংসা হয় বলে জানান গৌতমবাবু । কিন্তু কিছু পরেই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসেরই অন্য ঘোষ্ঠীর নেতৃত্বে সেন্ট্রাল কাজড়া এলাকা থেকে বেশ কিছু দুষ্কৃতী নিয়ে তাদের তৃণমূল কার্যালয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ।
হামলায় গৌতম বাবুর অফিসের একজন তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে গৌতমবাবু নিজেও আহত হয়েছেন বলে জানান । হামলায় ব্যাপকভাবে ভাঙচুর চালানো হয় কার্যালয়ে, ভেঙে ফেলা হয় চেয়ার টেবিল ।মারধর করা হয় কার্যালয়ে সেই সময় অবস্থিত বেশ কিছু তৃণমূল কর্মীকে বলে অভিযোগ করেন ।
অন্যদিকে ফোনে অভিযুক্ত নেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা । তিনি জানান ,শুধুমাত্র একজনের একশো দিনের কাজ হচ্ছে না বলে এ রকম গন্ডগোল পাকানো ঠিক নয় । তিনি এ ও বলেন যদি কেউ কাজ পাচ্ছে না তাহলে অনেক রাস্তা রয়েছে, পঞ্চায়েত সদস্যকে জানাতে হয় ,সদস্য না কাজ করলে পঞ্চায়েত প্রধানকে জানানো দরকার, না হলে বিডিও রয়েছে সর্বোপরি । এসব কিছু না করে শুধু শুধু ঝামেলা পাকানোর জন্যই গৌতম বাবুরা এই কাজ করছেন বলে তিনি জানান ।
তিনি আরো জানান, কাজ না পেয়ে এলাকার বেশকিছু জব কার্ড হোল্ডাররা আজ কাজড়া মোড় পার্টি অফিসে যায় এবং কথা কাটাকাটির পর ধাক্কাধাক্কিতে হয়তো চেয়ার টেবিল ভেঙে গেছে কিন্তু কেউ পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালাননি । তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। তিনি এও বলেন গৌতমবাবুর অফিসে বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা লোকেরাই ভিড় করে থাকেন। তাঁরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
কিন্তু যাই হোক বর্তমানে উভয় পক্ষই তৃণমূল কর্মী সমর্থক তাই এলাকায় তৃণমূলের লোকেরা তৃণমূলের পার্টি অফিস ভেঙে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বই সামনে এনেছে এমনটাই মত স্থানীয়দের একাংশের ।