সংবাদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- রায়না ২ ব্লকের মাধবডিহি থানা এলাকায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। আজ দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশসুপার কামনাশীষ সেন জানান,তদন্তে নেমে অতি অল্পদিনের মধ্যেই জেলার অতিরিক্ত পুলিশসুপারের নেতৃত্বে একটি টিম এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের আজই আদালতে পেশ করা হবে। তাদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্তের বাকি কাজ সমাধান করবে।
জেলা পুলিশসুপার এর বাইরে বিশেষ কিছু বলতে চান নি।ধৃতরা সকলেই যুবক। তারা সুপারি কিলার কীনা, তাদের কী মোটিভ ছিল সবই তদন্ত এগোলে জানা যাবে। পুলিশসুপার কামনাশীষ সেন জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এই চারজন বাইকে করে এসে ব্যবসায়ীকে আক্রমণ করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।দুস্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় ওই এক ব্যবসায়ীর। তার নাম হামিদ আলি খাঁন (৪৬)।
দোকান বন্ধ করে রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুস্কৃতীরা তার পথ আটকায় ও সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। হামিদ বাধা দিলে দুস্কৃতিদের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি চলে। ওই সময়ে দুস্কৃতিরা গুলি চালায়। ওইদিন রাতে ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার ছোট বৈনানের ছাতা দিঘিরকোন এলাকায় । তার বাড়ি মাধবডিহির আরুই পঞ্চায়েতের আরিফপুর গ্রামে । এই ঘটনা জানাজানি হতেই মাধবডিহি থানা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।দুস্কৃতীদের সন্ধানে রাতেই মাধবডিহি সহ আসপাশের সব থানা এলাকার বিভিন্ন সড়কপথে শুরু হয় পুলিশী তৎপরতা।
মাধবডিহির ছোটবৈনান বাজারে হামিদ আলি খাঁনের একটি কাপড়ের দোকান ও হোলসেল লটারি টিকিটের দোকান ছিল। অন্যান্য দিনের মতো রাত ১০ টার পর তিনি দোকান বন্ধ করে বাইকে চেপে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। ব্যবসার টাকার একটি ব্যাগ ও তার সঙ্গে ছিল। ব্যাগে ২ লক্ষের মত টাকা ছিল।পথে মাধবডিহির ছোট দিঘিরকোন এলাকায় বাইকে চেপে আসা দুস্কৃতী দল হামিদের পথ আটকে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নিতে যায় ।
হামিদ বাধা দিলে দুস্কৃতীরা তার কোমরে গুলি চালায় । রক্তাত অবস্থায় হামিদ রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে । তখন দুস্কৃতীরা হামিদের কাছে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় । স্থানীয়দের মাধ্যমে এই খবর পেয়ে মাধবডিহি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ।রক্তাত অবস্থায় হামিদকে উদ্ধার করে পুলিশ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হামিদ আলি খাঁনকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।