তনুশ্রী চৌধুরী,পানাগড়:- 'বাঙালির পাতে যেনো থাকে মাছ ভাত' এই সংকল্প নিয়েই বুদবুদের কোটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে কোটা অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার জলাশয়ে শুরু হয়েছে মৎস চাষ। মাছ চাষ করে লাভের মুখ দেখছে এলাকার মৎস চাষিরা। আউশগ্রাম দু নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বুদবুদের কোটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে যে সমস্ত মৎস চাষিরা মাছ চাষ করতে আগ্রহী দেখিয়েছে তাদের মাছ চাষ করার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে মাছ চাষ করতে সহযোগীতাও করছে কোটা গ্রাম পঞ্চায়েত। এর ফলেই একদিকে যেমন কোটা অঞ্চলে মাছের উৎপাদন বেড়েছে।তেমন বেড়েছে কর্ম সংস্থান।
স্থানীয় মৎস চাষি জগবন্ধু বাউরি জানিয়েছেন মাছ চাষে এলাকার মৎস চাষিরা লাভের মুখ দেখছে। কোটা পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় অনেক মৎস চাষি সরকারি ভাবে মাছের চারা সহ অন্যান্য সামগ্রী পেয়েছে। যার ফলে মাছ চাষের ক্ষেত্রে তাদের অনেকটাই সুবিধা হয়েছে।অধিকাংশ জলাশয়ে রুই কাতলা, আমেরিকান রুই,চারা পোনা সহ নানান মাছ চাষ করে তা পানাগড় বাজার, দুর্গাপুর,বুদবুদ সহ আশেপাশের বাজারেও বিক্রি করা হোচ্ছে। যার ফলে অনেক চাষি ভালো লাভের মুখ দেখছে।
কোটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান আলাউদ্দিন মন্ডল জানিয়েছেন রাজ্য মৎস দফতরের পক্ষ থেকে নানান স্কীমের মাধ্যমে এলাকার মৎস চাষিদের স্বনির্ভর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।সেই মত এলাকার যে সমস্ত বেকার যুবকরা মাছ চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে মাছ চাষ করে তারা যাতে স্বনির্ভর হতে পারে তার চেষ্টা করা হোচ্ছে। এছাড়াও সরকারি ভাবে চাষিরা মাছের চারা যাতে পায় তার ব্যবস্থা করা হোচ্ছে।একই সাথে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য যে সমস্ত জায়গায় চাষের অযোগ্য জমি রয়েছে সেখানে জলাশয় তৈরি করে মাছ চাষের ব্যবস্থা করা হোচ্ছে।
তিনি জানিয়েছেন মাছ চাষের ক্ষেত্রে যাতে আরও অগ্রগতি আনা যায় সেই কারণে বুদবুদের সোঁয়াই গ্রামে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে একটি বিশালাকার বাঁধ সংস্কার করে সেখানে মাছ চাষের পাশাপাশি মাছের চারাপোনা বিক্রির ব্যবস্থাও করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।সেখানে মৎস চাষিদের জন্য ব্লক আধিকারিকরা প্রশিক্ষণ দেবেন সেই ব্যবস্থাও করা হোচ্ছে। দ্রুত সব ব্যবস্থা হয়ে গেলে আগামী দিনে কোটা অঞ্চল মাছ চাষের ক্ষেত্রে নজির সৃষ্টি করবে সেই আশা তার।