শুভময় পাত্র,বীরভূম:- ঐরাবতের পারি শান্তিনিকেতন থেকে ঝিলিমিলির দিকে। অবশেষে দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় ঘুমপাড়ানি ওষুধ দিয়ে দাঁতাল কে ঘায়েল করল বনদপ্তর এর কর্মীরা । শেষমেষ ঘুমন্ত হাতিটিকে ক্রেনে করে জঙ্গল থেকে বার করে নিয়ে এসে লড়ীতে চাপানো হয়। তাকে নিয়ে যাওয়া হলো বাঁকুড়ার উদ্দেশ্যে। মনে করা হচ্ছে বাঁকুড়ার জঙ্গল থেকে দলছুট এই হাতিটি গতকাল আউশগ্রামের জঙ্গলে ঢুকে পড়েছিল।
আজ অজয় নদী পেরিয়ে ঢুকে পরে বীরভূমে শ্রীনিকেতনের পাসে বল্লভপুর সংলগ্ন চিপকুঠির জঙ্গলে।হাতি দেখতে পেয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় বল্লভপুর শ্রীনিকেতন ও শান্তিনিকেতন এলাকায় । বল্লভপুর অভয়ারণ্য তথা বনদপ্তর এর কর্মীরা শেষমেষ মাইকে প্রচার চালান হাতি বেরিয়েছে পটকা ফাঠাবেন না। দাঁতাল এই হাতিকে কোন রকম ভাবে বিরক্ত করবেন না।
প্রাণঘাতী হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা । তারপর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পরেন সকলেই। অবশেষে বীরভূম ও বর্ধমান ফরেস্ট অফিসার দের তৎপরতায় ঘুম পাড়ানোর ওষুধ ছুঁড়ে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয় হাতিটি কে।
শুধু ঘুম পারিয়ে সবকিছু সমাধান হয়ে গেল না, ওই দাঁতাল হাতিটিকে তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর আগের মুহূর্তে রীতিমতো নাকানি চুবানি খেতে হল বনদপ্তর কর্মীদের। দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টা প্রচেষ্টার পর শেষমেষ তাকে তোলা হলো ট্রাকে। তাকে দড়ি বেঁধে গায়ে জল ছিটিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হল বাঁকুড়ার ঝিলিমিলি এর দিকে।
বীরভূম ও বর্ধমানের ফরেস্ট অফিসার দের তত্ত্বাবধানে এদিন এই পুরো কাজটি সম্পন্ন হল। সকাল থেকে শুরু করে বেলা পাঁচটার সময় রওনা দিল গাড়ি। অবশেষে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেল শ্রীনিকেতন, শান্তিনিকেতন ও বল্লভপুরের মানুষজন।