সংবাদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- বর্ধমান পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ২৮১ নম্বর বুথের ঘটনা।অভিযোগ ভোটার কে সঙ্গে করে ভোট কক্ষে নিয়ে গিয়ে ভোট দিয়ে দিলো শাসক দলের এজেন্ট রিলিভার।প্রতিবন্ধী তাই তার সঙ্গে ভোট কক্ষে গিয়েছিলাম দাবী শাসক দলের এজেন্ট রিলিভারের।এজেন্ট রিলিভার ভোট গ্রহন কেন্দ্রের সামনে দাঁড়াতে পারেন না জানালেন প্রিসাইডিং অফিসার।
অন্যদিকে,পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিপুরে গণ্ডগোল। সিপিএমের অভিযোগ বহিরাগত ঢুকে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারাও এই নিয়ে সরব হন।পুলিশের বিরুদ্ধে নিক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। বাসিন্দা বিক্ষোভ দেখালে পুলিশ লাঠি চার্জ করে হটিয়ে দেয়।
পাশাপাশি, বর্ধমান পৌরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সোমবাথ দাসের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীরা বুথ জ্যাম করে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে। তাদের এজেন্টকে বাইরে বের করে দিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা।তাকেও বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ সোমনাথ দাসের।
তৃণমূল প্রার্থী উমা সাঁই বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলন,বিজেপিই তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে।
বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে বুথ থেকে বের করে দেয় পুলিশ।

অন্যদিকে,বুথের ভিতর বহিরাগতদের দাপাদাপির অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে। বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র অভিযোগ করেন, এদিন দিনভর বুথের ভিতর বাইরে থেকে আসা দুস্কৃতীরা দাপাদাপি করেছে। একটি ভিডিও দেখিয়ে তারা দাবি করেছেন, ভোটার আইডেন্টিটি কার্ড দেখতে চাইতেই পালিয়ে যাচ্ছেন কয়েকজন ব্যক্তি। তাদের জিজ্ঞাসা করতেই পুলিশের সামনে তাদের মারতে শুরু করে ঐ বহিরাগতরা। এমনিতেই সকাল থেকেই বিরোধীরা ছাপ্পা ও বহিরাগতদের দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ করছিলেন। ৯ নং ওয়ার্ডের শাসকদলের প্রার্থী তৃণমূল নেতা উত্তম সেনগুপ্তের স্ত্রী এবং দলের প্রাক্তন মহিলা সভানেত্রী।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, তারা এমন অভিযোগ পাচ্ছেন। ওরা বিজেপির লোক বলে দাবি করে এই তৃণমূল নেতা। পুলিশ ব্যবস্থা নিক। তারা পালটা দাবি, কয়েকদিন থেকেই বিজেপি এই ধরণের অবান্তর অভিযোগ করে আসছে। তার দাবি, ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী নিজেই বোমা রেখে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছিলেন গতকাল।আসলে ওদের জনভিত্তিই নেই।