শুভময় পাত্র,বীরভূম:- রাত পোহালেই বাংলা ক্যালেন্ডারের পৌষ মাসের শেষ অর্থাৎ 'সংক্রান্তি'। কথায় আছে 'কারো পৌষ মাস আবার কারো সর্বনাশ'। বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক সেই রকমই। বহু মানুষ যারা অর্থনৈতিক দিকের চিন্তা ভাবনা করে বসে আছে মেলায় বেচাকেনা করার লক্ষ্যে আর অন্যদিকে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি একরকম চরম পর্যায়ে।
এই দুবিধার মধ্যে পরেও শেষমেষ সাধারণ মানুষের ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক দিক এর কথা চিন্তা করেই অনুমতি পেল জয়দেব কেন্দুলি মেলা। আগামীকাল শুক্রবার থেকে করোনা বিধি মেনে শুরু হতে চলেছে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জয়দেবের কেন্দুলি মেলা।
তবে করোনা সংক্রমনের কথা মাথায় রেখে এবছর আগের মত জয়দেবের কেন্দুলি মেলা চেনা ছবিটা হয়তো নাও দেখতে পাওয়া যেতে পারে। কারণ থাকছে না বাউল ফকিরদের অসংখ্য আখড়া। বীরভূম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইলামবাজার থানার জয়দেবে অজয় নদের তীরবর্তী অঞ্চলে দুটি বড় বড় তাবু করা হচ্ছে।
সেই তাঁবুতে দূর দূরান্ত থেকে আসা সাধু সন্ন্যাসী ও পুণ্যার্থীরা পুণ্য স্নান করে বিশ্রাম নিতে পারবেন। চলতি বছর জয়দেব কেন্দুলি মেলা করোনা বিধির উপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত পুণ্যার্থীরা আসবেন তাদের সকলের ক্ষেত্রে মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে দূরত্ব বিধি কতটা মানা হচ্ছে সেটাও নজরদারি চালানো হবে।
মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মাক্স ব্যবহার করার। পাশাপাশি জয়দেব কেন্দুলি মেলা কভিদ বিধি মেনে পুণ্যস্নানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অজয় নদের স্নান ঘাটে বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার সিসিটিভি।
এবারের জয়দেবের মেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তে এক রকম করোনা সচেতনতা ওপর জোর দিয়েই জেলা প্রশাসন তাদের প্রচারের পাশাপাশি সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন করোনা সংক্রমণ কে ঠেকাতে। তাই অল্প হলেও পুণ্যার্থীদের আগমন ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে জয়দেব কেন্দুলিতে।