নীলেশ দাস, আসানসোল :- শুটআউট কাণ্ডে এক মহিলা সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করলো কুলটি (Kulti) থানার পুলিশ। খুন হওয়া পরেশ মাঝি, স্ত্রী মঙ্গলী মেঝানের নির্দেশেই খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।আড়াই লক্ষ টাকার বিনিময়ে হত্যা করে শার্পশুটার বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত চার জনকে শুক্রবার আসানসোল আদালতে তোলা হয়। তবে শার্পশুটার খুন করে বিহার পালিয়ে গেছে বলে অভিযুক্ত সন্দীপ নোনিয়ার বক্তব্য(Asansol Local Khabar)।
প্রসঙ্গত ,গত বুধবার আসানসোলের কুলটি থানার শীতলপুর এলাকার তুলসী হীড় সংলগ্ন একটি ঝুপড়ি থেকে পরেশ মাঝি নামে একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। শুটআউট কাণ্ডের ঘটনায় জড়িত স্ত্রী, উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তবে শুটআউট কাণ্ডে এক মহিলা সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হচ্ছে, বিক্কি নোনিয়া (২৯) বিশাল পাসোওয়ান (২১) সন্দীপ নোনিয়া (২৬) ও মৃতের স্ত্রী মঙ্গলী মেঝান। আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় এক অভিযুক্ত জানায়, তারা অর্থের বিনিময়ে এই কাজ করেছে। মৃত পরেশ মাঝির স্ত্রী মঙ্গলী মাঝির ইশারাতেই তারা এই কাজ করেছে। তাদের আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা হয়েছিল। প্রথমে তাদের ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
শুটআউট কাণ্ড প্রসঙ্গে, ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদী জানান, গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) আসানসোলের কুলটি থানার অন্তর্গত তুলসী হীড় গ্রামের একটি এলাকার এক ঝুপড়ি থেকে পরেশ মাঝি নামে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মৃত পাওয়া যায়। পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে এখনও পর্যন্ত মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত একটি বাইক, একটি স্কুটি ও এই অপরাধের কাজে লাগানো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া প্রত্যেকে নিজেদের অন্যায় স্বীকার করেছে। শুক্রবার এদের কোর্টে পেশ করা হয়েছে।
এদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আর্জি জানানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত একজন অভিযুক্ত পলাতক, তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এই কেসের আরো অনেক খুঁটিনাটি বিষয়ে দিকে নজর দেওয়া হবে। মৃতের সাথে তার বাড়ির অনেক দিন ধরে কোনো যোগাযোগ ছিল না। আর্থিক অভাব ছিল এই পরিবারের। এই বশতই তাদের বাড়ির লোকেরা এই রকম একটি পদক্ষেপ নেয় বলে প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে। ঘটনার পূর্ণ তদন্তের পর সবটা বলা যাবে বলে জানান তিনি।