সোমনাথ মুখার্জি, লাউদোহা :- নিয়ম করে প্রত্যেক দিন এলাকার প্রায় ৫০ টি বানর এবং ২০- ২২ টি পথকুকুরের মুখে তুলে দেন সাধ্যমতো খাবার। দীর্ঘ দশ বছর ধরে তিনি এটা করে আসছেন এটা করেই তিনি মানসিক শান্তি পান বলে জানান গোগলা অঞ্চল সভাপতি গৌতম ঘোষ।
গৌতমবাবু জানান যেভাবে দিনে দিনে খনি অঞ্চলে চাষযোগ্য জমি নষ্ট হচ্ছে , তার ফলে জমিতে চাষের পরিমাণ কমেছে, স্বাভাবিকভাবেই খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে বন্য প্রাণী গুলির কাছে।
গৌতমবাবু জানান ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার গঠন হওয়ার পর গোগলার মাধাইপুর এলাকায় একটি পার্টি অফিস তৈরি করা হয়। সেই সময় তিনি ছিলেন দলের একজন সাধারণ কর্মী। সেই তখন থেকেই তার শুরু পথকুকুরদের ও বানরদের নিয়ম করে খাওয়ানো।
তিনি জানান এ জন্য তাঁর প্রত্যেকদিন ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ব্যয় হয়। ঠাকুরের কিবায় জুটেও যায় সবকিছু । বন্য প্রাণী বানর ও পথকুকুরদের জন্য জন্য আলু ও বিস্কুট নিয়মিত তিনি গাছতলায় বসে নিজের হাতে করে খাওয়ান অবলা পশুদের।
আশ্চর্যের বিষয় এই যে গৌতমবাবু সঠিক সময়ে সেই বটবৃক্ষ তলায় এসে পৌঁছাতেই ভিড় করে আশেপাশের প্রায় পঞ্চাশ টি বানর ও পথ কুকুররা। গৌতমবাবুর হাত থেকে খাবার খেয়ে আবার সেই বন্য পশুরা তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় চলে যায় ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,তাদের অঞ্চল সভাপতি গৌতম ঘোষ মানবিক। শুধু বন্য পশু প্রাণীরাও নয় সমস্যায় পড়লে এলাকার মানুষের পাশে সব রকমভাবে দাঁড়াতে দ্বিধা বোধ করেন না তিনি। অন্য ধারে গৌতমবাবু জানান তিনি বজরং বালির ভুক্ত।
তাই তাঁর প্রভুদের নিজের হাতে খাওয়াতে চরম সন্তুষ্টি লাভ করেন। চরম আশ্চর্যের বিষয় প্রত্যেক শনি এবং মঙ্গলবার অতিমাত্রায় বানরসেনা সঠিক সময়ে এসে হাজির হয়। এছাড়াও প্রত্যেকদিন তো আছেই।