নীলেশ দাস, আসানসোল :-পাহাড়কে ধবংস করে পাথর কেটে পাথর পাচার করছে পাথর মাফিয়ারা। প্রকৃতির সৃষ্টি পাহাড় জঙ্গল কেও বাদ দিচ্ছে না মাফিয়ারা। পাথর কারবারীদের বিরুদ্ধে এবার রুখে দাঁড়ালো, গ্রামের বাসিন্দারা।
সালানপুরের দেন্দুয়া, রামডি, কালিপাথর, সিদাবাড়ি, বাথনবাড়ি, সহ একাধিক গ্রামে রাতের অন্ধকারে চলছে অবৈধভাবে কোয়াজ পাথরের ব্যাবসা। আর শুক্রবার এমনি ঘটনা সামনে এলো দেন্দুয়া গ্রাম সংলগ্ন 'ধ' পাহাড়ি এলাকায়। যেখানে পাহাড়ের সৌন্দর্য ধ্বংস করে জেসিপি ও ব্লাস্টিং করে এবং সাবলের দ্বারা খনন করে অনায়াসে মাটি কেঁটে সাদা কোয়াজ পাথরগুলি বের করে বিভিন্ন কল কারখানায় মোটা অঙ্কের অর্থে বিনিময়ে চলছে বিক্রি।
আর এই খবর জানা জানি হতেই গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নেয় এতসুন্দর একটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষার। আর তারই অঙ্গ হিসাবে গ্রামবাসীরা একত্রিত ভাবে শুক্রবার ওই এলাকা গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলে কোয়াজ পাথর ভর্তি কয়েকটি ট্রাক্টার আটক করে। আর তার পরেই গোটা বিষয় জানিয়ে খবর দেওয়া হয় সালানপুর থানা ও কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশকে। আর এর পরেই ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশ। তারা ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক্টার বেলচা, কোদাল, সাবল, হাতুড়ি সহ আরো বিভিন্ন সামগ্রিক বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়।
আরো পড়ুন:- অনলাইন বিপণন সংস্থার দপ্তরে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো আসানসোলে
পাশাপাশি ওই ঘটনাস্থলে জড়িত অবৈধ কোয়াজ পাথরের কারবারি বাপি মাহাতো জানান দুই দিন আগে টাকার লোভে ভুল করে এই কাজ সে করে ফেলে সে। কিন্তু ওই এলাকার এক মানুষ সঞ্জয় মাহাতো বলেন আমার জমি ও আশেপাশের জমিতে কালীপাহাড়ির বাসিন্দা কাম রুদীন আনসারী ও সামসুল আলম নামক দুই ব্যক্তি ওই মাটি কেঁটে পাথর বিক্রি করে। যদিও এই বিষয়ে তার নাকি কিছুই জানা ছিলো না। তাকে বলা হয়েছিলো তার জমি থেকে মাটি কেঁটে তারা নেবে এবং তাকে একটা ছোট পুকুর করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন যে আমি গরীব মানুষ পুকুরের লোভে আমি জায়গা তাদের দিয়েছিলাম। জায়গাটি দিয়ে আমি ভুল করেছি তাই এই জায়গাটি আমি ভরাট করে দেবো।
আর এই নিয়ে দেন্দুয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রঞ্জন দত্ত বলেন, যে অবৈধভাবে কিছু মাফিয়ারা একত্রিত ভাবে সুন্দর এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করার চেষ্টা করছে,'ধ' পাহাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় তারা মাটি কেঁটে কোয়াজ পাথর বের করে পাহাড় ও গাছগুলি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তার প্রমাণ আজ সবার সামনে গ্রামবাসীরা এই গাড়ি ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। আর এই বিষয়ে এদিন কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশকে ফোন করে খবর দেওয়া হয় পুলিশ এসে ট্রাক্টর আরো বিভিন্ন সামগ্রিক বাজেয়াপ্ত করে।