তনুশ্রী চৌধুরী,কাঁকসা:- স্বেচ্ছায় অঙ্গ দানের প্রতি উৎসাহ বাড়াতে এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হলো কাঁকসা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।এদিন দুর্গাপুর রোটারি ক্লাব, আর আর ভৌমিক মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল ট্রাস্ট পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ এবং পানাগর ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স ফোরামের উদ্যোগে এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
পানাগর ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফর্মের সেক্রেটারি প্রণব শেঠ জানিয়েছেন স্বেচ্ছায় রক্তদানের পাশাপাশি সমাজের কল্যাণে অঙ্গদান দেহদান কতটা জরুরী সেই বিষয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উৎসাহ বাড়াতে তারা এই সভার আয়োজন করেছেন। রক্তদানের প্রতি উৎসাহ যেমন মানুষের রয়েছে তেমনি অঙ্গ দানের এবং দেহদানের প্রতিও মানুষের মধ্যে উৎসাহ বাড়ুক। সেই প্রচেষ্টা করেছেন তারা। তাদের আশা যেভাবে রক্তদানের প্রতি মানুষ উৎসাহ নিয়ে রক্ত দান করেন সেই উৎসাহ নিয়ে আগামী দিনে কাঁকসা থেকে বহু মানুষ অঙ্গদান এবং দেহদানের অঙ্গীকার হবেন।
পানাগরের বিশিষ্ট চিকিৎসক টি কে ভৌমিক বলেন অঙ্গদান, দেহদান এবং চক্ষুদান এই বিষয়গুলি তারা একটা ছাতার তলায় নিয়ে আসতে চাইছেন। সেই কারণে সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে তারা একজোট হয়ে আগামী দিনে কাজ করতে চান। এখনো বহু মানুষের মধ্যে ভয় ভীতি রয়েছে। এই বিষয়ে তবে সেই ভয় কাটিয়ে সাধারণ মানুষ উৎসাহ নিয়ে অঙ্গদান দেহ দান এবং চক্ষুদানের প্রতি এগিয়ে আসুক সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আজ সকলকে সচেতন করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:- সাত-সকালে এক মহিলার গলাকাটা দেহ উদ্ধার কে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো বর্ধমানে
তিনি বলেন অনেক মানুষ আছেন যারা একটা চোখের জন্য অপেক্ষা করছেন অনেকে একটা কিডনির জন্য অপেক্ষা করছেন। একটা কিডনি একটা চোখ তারা পেলে তারা আবার সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে। এটা তখনই সম্ভব যখন মানুষ স্বেচ্ছায় মরণোত্তর দেহ দান বা মরণোত্তর অঙ্গদান এর প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হবেন। কারণ মৃত্যুর পর অনেকেই সব দেহটা জ্বালিয়ে দেয়। অঙ্গ দানের অঙ্গীকার করে থাকলে তার অঙ্গ অন্যের কাজে লাগবে এবং সে আবার সুস্থ হবে সমাজে বেঁচে থাকতে পারবে তাই সকলের কাছে তিনি এই বিষয়ে এগিয়ে আসার জন্য আবেদন করেন।