ওয়েবডেস্কঃ- মনিটারি পলিসি কমিটির (MPC) বৈঠকের পর, বুধবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস সুদের হার নিয়ে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি ঘোষণা করেছেন শক্তিকান্ত দাস বলেছিলেন যে আগামী ত্রৈমাসিকের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেটগুলিতে কোনও পরিবর্তন করেনি। RBI-এর এই সিদ্ধান্তের পরে, সুদের হারে কোনও পরিবর্তন হবে না।এমপিসি বৈঠকের পরে, আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, 'মনিটারি পলিসি কমিটি (এমপিসি) সর্বসম্মতভাবে রেপো রেট 4 শতাংশে রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছে। বিপরীত রেপো রেটও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে 3.35 শতাংশে। এর সাথে, ব্যাঙ্ক রেটগুলিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তা রাখা হয়েছে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ।
আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস আরও বলেছেন যে বিশ্ব বাজারে কোভিড -19 মহামারীর কারণে, অনেক চ্যালেঞ্জ হয়েছে এবং ভারতও অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, যার মধ্যে আরবিআই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করেছে। এখন আমরা করোনা মোকাবেলায় ভালো অবস্থানে আছি। শক্তিকান্ত দাস বলেন, দেশে এখনো বেসরকারি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করার প্রয়োজন রয়েছে। দেশের কিছু অংশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রাজ্যগুলি থেকে আসা রাজস্বও প্রভাবিত হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) ব্যাঙ্কগুলিকে যে হারে ঋণ দেয় তাকে রেপো রেট বলা হয়। এই ঋণ দিয়ে ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের ঋণ দেয়। অর্থাৎ রেপো রেট কম হলে ঋণের সুদের হার কম থাকে এবং রেপো রেট বাড়লে ব্যাঙ্কগুলি সুদের হার বাড়াতে পারে। অন্যদিকে, রিভার্স রেপো রেট রেপো রেট এর ঠিক বিপরীত এবং এটি সেই হার যে হারে আরবিআই ব্যাঙ্ক থেকে আমানতের উপর সুদ প্রদান করে। রিভার্স রেপো রেটের মাধ্যমে বাজারে তারল্য নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
জিডিপি বৃদ্ধির হার প্রসঙ্গে শক্তিকান্ত দাস জানান,মুদ্রানীতি কমিটির (এমপিসি) বৈঠকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার কোনো পরিবর্তন হয়নি। ২০২১-২২ অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৬.৬ শতাংশ ও চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৬ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমান করা হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে রিয়েল জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ১৭.২ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তা ৭.৮ শতাংশ হতে পারে। সাম্প্রতিককালে করোনার প্রকোপ কম হওয়ায় এবং জ্বালানির দাম কমায় দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারেই চাহিদা বেড়েছে গ্রাহকদের। এর ফলেই ধীরে ধীরে ফের পুরোনো গতিতে ফিরছে দেশের অর্থনীতি।