শুভময় পাত্র, বীরভূম:- এবার পৌষ মেলা নিয়ে রাস্তায় নামলেন লোকশিল্পী ও হস্ত শিল্পীরা, এবছর পৌষ মেলা করার আবেদন জানিয়ে সরকারিভাবে থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব সকলেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন পৌষ মেলা যাতে আগের মতন চালু করা যায়। গতবছর করোনার ভয়াবহতার কারণে পৌষ মেলা করা সম্ভব হয়নি, সেটা সকলেই মেনে নিয়েছেন, তাই কোনরকম ওজর আপত্তি ও কেউ করেননি।
কিন্তু এ বছরে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক এর দিকে, গত বছর মেলার না হওয়ার কারণে গ্রামীণ হস্তশিল্পী, লোক শিল্পী থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সকলেই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কারণ সারা বছরে এই দিনটাতে তারা তাকিয়ে থাকেন রুটি রুজির দিকে, সেই মেলা নিয়েই উদাসীন হয়ে আছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যেখানে বোলপুর পৌরসভা এই পৌষ মেলা কে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সব রকম ভাবে সাহায্য করার আশ্বাস জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কে, যে পৌষ মেলা যাতে কোনরকম ভাবে বন্ধ না হয়, এবছর যাতে মেলা করা হয় তার জন্য তারা সর্বতোভাবে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতিও লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে মেলা ট্রাস্টকে।সেখানে কেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এতো উদাসীনতা ? কি চাইছেন তিনি ? রবীন্দ্র ভাবাবেগকে আঘাত করে অনেকদিন আগেই তিনি গোটা বোলপুর তথা শান্তিনিকেতন বাসীর কাছে অপ্রিয় হয়ে আছেন।
National Assessment and Accreditation Council অর্থাৎ ন্যাক এর মূল্যায়নে তার শাসনকালে বিশ্বভারতীর মান যেখানে লজ্জাজনক জায়গায় পৌঁছেছে, এতকিছুর পরেও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কিসের এত অহংকার ? সাসপেন্ড হওয়া অধ্যাপক দের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে পুনরায় কাজে যোগদান করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা করার সম্মতি জানিয়ে কার্যকর করলে এতদিনের জমে থাকা ক্ষোভ কে কিছুটা হলেও প্রশমিত করতে পারতেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এমনটা মনে করেছিলেন বিশিষ্ট মহল।
আরো পড়ুন:- ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবিতে বাংলা পক্ষ-এর সভা অনুষ্টিত হল বুদবুদে
কিন্তু সেই পথে তিনি না হেঁটে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে চাইছেন উপাচার্য । খুব স্বাভাবিক ভাবেই উপাচার্যের এমন আচরণে ক্ষোভ কিন্তু ক্রমশ বাড়ছে। বাউল ফকিরের দল যেমন রাস্তায় নেমে রবিবার পৌষ মেলা করতে হবে এই দাবি তুললেন তেমনি হস্তশিল্পীরাও রবিবার বিকালে একই দাবিতে রাস্তায় মিছিল করলেন বাউল ফকিরদের সাথে তাল মিলিয়ে । সবার সুর একই সুরে বাঁধা পৌষ মেলা হোক শান্তিনিকেতনে।